West Bengal News

শুটআউট এবার টিটাগড়ে, ভরদুপুরে কালীপুজোর প্যান্ডেলের সামনে তৃণমূল নেতাকে গুলি

জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর মণীশ শুক্ল-সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডেরই মুচিপাড়া এলাকার একটি কালীপুজোর প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সতীশ মিশ্র। সেই সময় চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী এসে আচমকাই তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:২২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দমদমের পর এবার টিটাগড়ে শুটআউট। প্রোমোটারের পর গুলি তৃণমূল নেতাকে। টিটাগড়ের ২১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি সতীশ মিশ্রকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেনস্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর মণীশ শুক্ল-সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডেরই মুচিপাড়া এলাকার একটি কালীপুজোর প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সতীশ মিশ্র। সেই সময় চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী এসে আচমকাই তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে। সতীশ-সহ অন্যান্যরা পালাতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীদের প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও দ্বিতীয় গুলিটি লাগে সতীশবাবুর বুকে। তিনি লুটিয়ে পড়েন। কিন্তু অন্যরা দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুলিশ সুপার ছেলেকে স্যালুট করে গর্বিত লখনউয়ের কনস্টেবল বাবা

ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দিকে। গুলিবিদ্ধ সতীশ মিশ্র এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মণীশ শুক্ল দু’জনই স্থানীয় বিধায়ক অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ঘটনার পরই এলাকায় যান অর্জুন বাবু। স্থানীয় একটি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। বিধায়কের দাবি, কাউন্সিলর মণীশ মিশ্রই টার্গেট ছিলেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সতীশবাবু।

বিজেপির ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সভাপতি অহীন বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের সর্বত্র নিজেদের মধ্যে বখরার গণ্ডগোলে তৃণমূলই তৃণমূলকে মারছে। এখানেও একই ঘটনা ঘটেছে। যাঁর নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি গত ২০ দিন ধরে এলাকাতেই নেই। তিনি উত্তরপ্রদেশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন।’’ অহীনবাবুর কথায়, ‘‘যেখানেই বিজেপির জনভিত্তি বাড়ছে, সেখানেই বিজেপি-কে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজেদের গোলমালের দায় আমাদের কাঁধে চাপাচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফরাসি ছাত্রীর যৌন নিগ্রহ করলেন আশ্রয়দাতা পড়ুয়ার বাবা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুনের চেষ্টা হয়েছে। এফআইআর-এর ভিত্তিতে ভোলা সর্দার এবং কালা মুন্না নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের অনুমান, এই দু’জনের কেউ গুলি চালায়নি। আরও দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন