Madan Mitra

NARADA SCAM: শ্বাসকষ্ট কমলেও রয়েছে রক্তচাপের সমস্যা, হাসপাতালে, জেলে উৎকণ্ঠায় চার নেতা- মন্ত্রী

মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইকোকার্ডিওগ্রাফি সহ বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ০৭:০০
Share:

এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লক থেকে বেরিয়ে আসছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মদন মিত্রকে। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য ও নিজস্ব চিত্র

শ্বাসকষ্ট কমলেও, নারদে ধৃত, হাসপাতালে ভর্তি তিন নেতারই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখনও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, চরম উৎকণ্ঠার কারণেই রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা ওঠানামা করছে। বুধবারেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি ছিল। আশা ছিল, হাই কোর্ট আবেদন শুনে জামিন দেবে। কিন্তু, শুনানি গড়িয়েছে বিকেল পর্যন্ত। আজ, বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে হাই কোর্টে।

Advertisement

বুধবার এসএসকেএমের উডর্বান ব্লকে থাকা, ওই তিনজন, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইকোকার্ডিওগ্রাফি সহ বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সেই সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে চার চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড। ইতিমধ্যেই এই তিন জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তিনজনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।

সূত্রের খবর, এ দিন মদনের বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে সিওপিডি-র পুরনো সমস্যা ছাড়াও তাঁর ফুসফুসে কোভিড জনিত ক্ষতির ছাপ এখনও রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মদনকে টানা অক্সিজেন দেওয়া না হলেও সিপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীরে নেমে যাওয়া সুগারের মাত্রা এখন কিছুটা ঠিক আছে। এ ছাড়াও মাঝেমধ্যে তিন জনকেই নেবুলাইজারও দিতে হচ্ছে। কারোরই রক্তচাপ, সুগার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তিন জন নিয়মিত যে ওষুধ খেতেন, তার বেশ কয়েকটি মঙ্গলবারেই বদলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। এ দিন হাসপাতালে আসেন শোভনের স্ত্রী রত্না ও ছেলে ঋষি। পরে বাইরে আসার পরে রত্না দাবি করেন, তিনি শোভনের ঘরে যাননি। শুধু চিকিৎসকদের থেকে খবর নিয়েছেন। আর ঋষি বলেন, ‘‘বাবার রক্তচাপ কমছে না। তবে আগের থেকে সামান্য ঠিক আছেন।’’

Advertisement

নারদে ধৃত, চতুর্থ নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন প্রেসিজেন্সি জেলের হাসপাতালে। তাঁরও করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিনও সারা দিন ধরে তিনি বাইরের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অনেকেই জেলে গিয়েছিলেন। তিনি শুধু আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সন্ধ্যায় হাই কোর্টের মামলার শুনানির শেষে আইনজীবীরা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।

জেল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁর জ্বর আসে এবং পেটে ব্যথা শুরু হয়। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী এবং চিকিৎসকেরা তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চাইলে তিনি রাজি হন না। বুধবার সকাল থেকে সারা দিনই জ্বর ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই সারা দিন তিনি টিভি দেখেছেন। খানিকটা উৎকণ্ঠা ছিল জামিন হওয়া নিয়ে। যদিও শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে বৃস্পতিবার পর্যন্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement