দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
বোলেরো গাড়ি এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের পাঁচ তৃণমূল নেতা সহ মোট ছ’জনের। এদের মধ্যে চার জন নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদায়, ১১৬ জাতীয় সড়কের উপর।
বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের কান্দি থেকে আসা ওই বোলেরো গাড়ির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মৃতেরা হলেন কান্দি ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ হায়দার আলি, পুরন্দরপুরের পঞ্চায়েত সভাপতি সমরনাথ ঘোষ, পঞ্চায়েত সদস্য দেবসাগর দে, কান্দি ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কালাম হাজি এবং পুরন্দরপুর অঞ্চল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসিত দাস। মৃতদের মধ্যে চারজন কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছে ওই গাড়ির চালক প্রদীপ দাসেরও।
মৃতেরা প্রত্যকেই মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বাসিন্দা। তাঁরা কান্দি থেকে দিঘায় যাচ্ছিলেন। দিঘা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে মারিশাদায় একটি গাড়িকে ওভারটেক করার পর নিয়ন্ত্রণ হারানো দিঘা থেকে হাওড়াগামী বাস প্রবল গতিতে বোলেরো গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। আর তাতেই গাড়িটি প্রায় তালগোল পাকিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় পূর্ণধরপুরের অঞ্চল সভাপতি অসিত দাসকে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল কাঁথি হাসপাতালে। কিন্ত তাঁকেও বাঁচানো যায়নি।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: চিট ফান্ড: রাজ্যের ১৬টি এলাকায় সিবিআইয়ের তল্লাশি
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-তথ্য বাইরে কেন, শো-কজ হাসপাতাল সুপারকে
প্রাথমিক তদন্তে মারিশদার পুলিশের ধারণা, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ছুটছিল ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে। গাড়িটির গতি ছিল একশোর কাছাকাছি। দুই গাড়ির গতি বেশি থাকার ফলেই ভয়ঙ্কর দু্র্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। দুর্ঘটনার পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যান পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বাসটিকে আটক করা গেলেও চালক ও খালাসিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
রাজ্যে পথ দুর্ঘটনা ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, মৃতেরা সকলেই তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।