—ফাইল চিত্র।
দাড়িভিটে শুভেন্দু অধিকারীর প্রস্তাবিত সভাস্থল দেখতে গিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটতে হল তৃণমূল নেতা-কর্মী ও পুলিশকে। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা।
বেলা দেড়টা নাগাদ প্রথমে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মাঠে মণ্ডপ কোথায় হবে, তার মাপজোক করতে যান। কিন্তু, নিহত দুই ছাত্রের পরিবার ও তাঁদের পরিচিতদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তাঁরা মাপামাপি না করেই ফেরেন। এর পরে বেলা আড়াইটে নাগাদ দাড়িভিট হাইস্কুলের কাছের মাঠে কোথায় সভা হবে, তা দেখতে ইসলামপুর থেকে পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু, পুলিশ মাঠের দিকে রওনা হওয়ার মুখে নিহত দুই যুবকের পরিবার-পরিচিতরা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের কয়েক জন পুলিশকে লক্ষ করে চিৎকার করে গালি দেন। ২০ মিনিট পরে পুলিশ গ্রাম ছেড়ে ইসলামপুরের দিকে রওনা হয়ে যান।
নিহত তাপসের বাবা বাদল বর্মণ ও রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেদের মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছি। তা হল না। অথচ এই মাঠে সভা করতে চায় তৃণমূল। আমরা করতে দেব না। সভা করতে হলে আমাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে।’’
পরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবোধ মজুমদার বলেন, ‘‘এ দিন মঞ্চের বিষয়টি দেখতে গেলে কিছু লোক ক্ষোভ দেখান। কিন্তু আমাদের সভা ৬ জানুয়ারি ওই খানেই হবে।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলার সহকারী সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘তদন্ত হয়নি বলেই হয়তো এখনও পরিস্থিতি তেতে। তাই এখনই ওই মাঠে সভা করা ঠিক নয়।’’ ২০ সেপ্টেম্বর গুলিচালনার ঘটনার পরে এ দিনই প্রথম দাড়িভিট গেল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ দেখানো হয়, সে সম্পর্কে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘লোকজন কিছু অভিযোগ করেছেন। তা পুলিশ শুনেছে।’’