Mrigen Maity

প্রয়াত মৃগেন মাইতি, তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে মমতা

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন মৃগেন। গত ১ ডিসেম্বর তাঁকে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৮
Share:

প্রয়াত মৃগেন মাইতি। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রয়াত মৃগেন মাইতি। আজ সোমবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরের সভা শেষ করেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে শোকজ্ঞাপন করে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আসেন।

Advertisement

মেদিনীপুরের সভা থেকেই মৃগেনের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘মৃগেনদা খুব অসুস্থ। তার মত নেতা আর তৈরি হবে কিনা সন্দেহ। তিনি যে ভাবে সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তা ভোলার নয়।’’ সভ শেষ হতেই তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গেই সভাস্থল থেকে সরাসরি মৃগেনের বাড়িতে যান তৃণমূল নেত্রী।

বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমবেদনা জানান। মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘‘মৃগেনদা আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর মরদেহ কলকাতা থেকে নিয়ে আসার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থাও করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেব না, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন মৃগেন। গত ১ ডিসেম্বর তাঁকে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করান। সেখানেই সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। রাতে মরদেহ পৌঁছবে বাড়িতে।

আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানে ধুন্ধুমার, এক কর্মীর মৃত্যু, দাবি বিজেপির

২০১১ ও ২০১৬ সালে দু’বার মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক হয়েছেন মৃগেন। মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন (ইউনিফাইড)-এর রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তা ছাড়া মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন