দিলীপ ঘোষ
একদিন আগেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা ঠান্ডা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। সেই রবিবাবুই এ বারে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মাথা ঠান্ডা রাখার পাল্টা দাওয়াই বাতলে দিলেন। শুক্রবার কোচবিহার সাগরদিঘি পাড়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলের অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “ভাল ফল করতে পারেননি বলে দিলীপ ঘোষের মাথা গরম হয়ে গিয়েছে। এ বারে তিনি যখন কোচবিহারে আসবেন, তাঁকে ধরে নিয়ে এসে সাগরদিঘির জলে চবিশ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।” পরে তিনি বলেন, “বিজেপি সভাপতি গুলি করে লোক মারার কথা বলছেন। তাঁর মাথা ঠান্ডা করতেই সাগরদিঘিতে নামানো হবে।”
রবিবাবুর এই কথার জবাবে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “তৃণমূল জেলা সভাপতি মাঝে মধ্যেই উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। তাঁর নেত্রী তাই তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছেন। তিনি নিজে আগে সাগরদিঘিতে নেমে মাথা ঠান্ডা করুন, তার পরে না হয় অন্য কারও কথা ভাববেন।”
এ দিনের সভা নিয়ে অন্য লড়াইও শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে। বিজেপির দাবি, এ দিন সাগরদিঘির পাড়ে তাদের সভার কথা ছিল। কিন্তু জোর করেই এ দিন একই জায়গায় সভার অনুমতি বার করেছে তৃণমূল। সে জন্য বিজেপির সভা বাতিল করা হয়। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, তৃণমূলই আগে অনুমতি চায়।
শুক্রবারের সভার শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিল তৃণমূল। রবিবাবু তো বটেই, সরব ছিলেন অন্যরাও। সভায় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “বিজেপির ঠাঁই নেই জেলায়।” তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়েছেন। এর প্রতিবাদে আন্দোলন চলতে থাকবে।”