Kalyan Banerjee

সরকারি অর্থের অপব্যবহার করে দলীয় অনুষ্ঠান করছেন মোদী, দাবি কল্যাণের

রবিবার শ্রীরামপুরে একটি সভায় মোদীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৪৭
Share:

শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজের দলের অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহার করছেন বলে দাবি করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী সরকারি টাকায় রাজনৈতিক মিটিং করে যাচ্ছেন। একটা ছোট অনুষ্ঠানেও প্রচুর সরকারি টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে তাঁর দল বিজেপি-র জন্য রাজনৈতিক সভা করে যাচ্ছেন। রবিবার হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে একটি সভা থেকে মোদীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন কল্যাণ।

Advertisement

শ্রীরামপুরের সভায় কল্যাণ বলেন, ‘‘রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে যেটা তিনি (নরেন্দ্র মোদী) বলছেন, সেটা তাঁর দলের বা সরকারের মত নয়। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। ভোটের দিন ঘোষণার আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাল কে? যদি অমিত শাহের নির্দেশে আসে, তা হলে বুঝতে হবে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আর যদি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাহিনী আসে, তা হলে অফিশিয়াল অর্ডার কোথায়? তা হলে নির্বাচন কমিশন তার এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। তবে রাজ্য সরকার মহত্বের পরিচয় দিয়েছে। বাহিনীকে নিয়ে রুট মার্চ করাচ্ছে এবং এটা দেখাতে চাইছে যে এখানে কোনও রাজনীতিকরণ নেই।’’

বামেদের ‘টুম্পা’ গানের প্যারোডি করে ব্রিগেড যাওয়ার আহ্বানকেও কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘বৃদ্ধ বিমান আর অল্প বৃদ্ধ সূর্যকান্ত ‘টুম্পা’র হাত ধরে ব্রিগেডে যাবেন। কোথায় গেল বাম?’’ কল্যাণের এই কটাক্ষের জবাবে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘২৮ তারিখ প্রমাণ হয়ে যাবে, ব্রিগেড বৃদ্ধদের না তারুণ্যের? কল্যাণবাবু সময় পেলে একটু টিভিতে চোখ রাখবেন, তা হলেই বুঝতে পারবেন।’’

Advertisement

রবিবার শ্রীরামপুরে ‘পিসি যাও’ গান বাজিয়ে মিছিল বিজেপি-র। —নিজস্ব চিত্র।

প্রধানমন্ত্রীর সভার সমর্থনে রবিবার শ্রীরামপুর ইএসআই হাসপাতালের সামনে থেকে বৈদ্যবাটি পর্যন্ত ‘পিসি যাও’ গান বাজিয়ে মিছিল করে বিজেপি। বামেদের পাশাপাশি ‘পিসি যাও’ গান নিয়ে বিজেপি-কেও বিঁধেছেন কল্যাণ। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি-র ওই গান শুনে মনে হচ্ছে প্যারোডিটাই ভাল করে করতে পারেনি। আক্রমণ যদি করো, তবে নাম করে করো। সাগর থেকে পাহাড় একটাই আওয়াজ উঠে গেছে আবার। ‘চাই মমতা বাংলার মেয়েকেই আবার চাই’। ও সব প্যারোডি করে কোনও লাভ নেই।’’ এ নিয়ে বিজেপি-র শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি শ্যামল বোস বলেন, ‘‘গান তো বাঁধবেই। নির্বাচনের আগে গান হবে, ছড়া হবে। তবে বিজেপি কারও নাম করে গালাগাল দেয় না। ওটা তৃণমূলের সংস্কৃতি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন