Lok Sabha Election 2024

তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা

লোকসভা ভোট ঘোষণার মুখে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উদ্বাস্তু ও মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের দাবি মেনেই এই আইন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৬
Share:

বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ছবি: সংগৃহীত।

মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। মঙ্গলবার মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি হিসাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটারে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে তথাগত দাবি তুলেছিলেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করা হোক।

Advertisement

তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা লিখেছেন, ‘‘নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁর এ হেন মন্তব্য মতুয়া ধর্মাবলম্বীদের জন্য ‘অপমানজনক’।’’ গত রবিবার ১৭ মার্চ সকাল ৯টা ১৯ মিনিট নাগাদ এই টুইটটি করেন তথাগত। সেই টুইটে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মমতাবালা। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে ১১ মার্চ নাগরিক সংশোধনী আইনের রুলসের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উদ্বাস্তু ও মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মানুষের দাবি মেনেই এই নতুন নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে সিএএ চালু করতে দেবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেই আইন কার্যকর করা নিয়েই বিতর্কিত টুইট করেন তথাগত। সেই মন্তব্যের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল।

অন্য দিকে, তথাগত মন্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ লেক গার্ডেন্সে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়। সমাজকর্মী মানিক মণ্ডল বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় যে ভাবে শারীরিক পরীক্ষার নিদান দিয়েছেন, তা শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপির মিথ্যের হাঁড়িটা ফুটো করে দিয়েছে। তাই তারা যা পারছে নেতাদের দিয়ে বলিয়ে বেড়াচ্ছে। তথাগত রায়ের টুইটের ভাষা শুধু যে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে তা নয়, বরং ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরি করে অশান্তি ছড়ানোর একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন