Suvendu Adhikari

রামনগরে শুভেন্দুর সভার আগে তাঁকে ‘বড় নেতা’ বলল দল

শুভেন্দু বৃহস্পতিবার কী বলবেন রামনগরের সভা থেকে, তৃণমূল-সহ রাজনৈতিক শিবিরের নজর সে দিকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৩৩
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে ‘মেগা শো’-এর ঘোষণা করে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ২৪ ঘন্টা আগে বুধবার তাঁকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের মন্ত্রিসভা তো বটেই, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতেও রয়েছেন শুভেন্দু। দলের এক বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে সদ্য শুভেন্দুর ‘বিশেষ’ বৈঠক হয়েছে কলকাতায়। তার নির্যাস বলছে, শুভেন্দু দলকে জানিয়েছেন, এখনও তিনি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তার অব্যবহিত পরেই দল জানাল, শুভেন্দু দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্য।

Advertisement

কোচবিহারের প্রবীণ বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং শুভেন্দু সম্পর্কে দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করায় সুখেন্দু বলেন, মিহির যে হেতু নিজের অবস্থান নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাই তাঁর সম্পর্কে তিনি কিছু বলবেন না। কিন্তু নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী সম্পর্কে সুখেন্দু বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দলের বড় নেতা। তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য। আমাদের মন্ত্রিসভারও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’’ তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দুকে ঘিরে যে টানাপড়েন চলছে, তাতে নেতৃত্বের তরফে কোনও সঙ্কেত না থাকলে সুখেন্দু তাঁকে ‘বড় নেতা’ বলে উল্লেখ করতেন না।

পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত অখিল গিরির খাসতালুক রামনগরে বৃহস্পতিবার সভা করার কথা শুভেন্দুর। তমলুক, এগরা, নন্দীগ্রাম-সহ জেলার নানা প্রান্তে শুভেন্দুর একের পর এক কর্মসূচি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। ওই কর্মসূচিগুলিতে দলের কোনও পতাকা দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি দেখা যায়নি। এমনকী, নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানেও মমতা বা তৃণমূলের নাম শুভেন্দু বা তাঁর অনুগামীরা উচ্চারণ করেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লড়াইয়ে পদ্মের পাঁচ নেতা, বাঙালিতে অনাস্থা, কটাক্ষ তৃণমূলের

বিভিন্ন সমবায় সংগঠনকে নিয়ে রামনগরে যে তিনি সভা করতে চলেছেন, তা শুভেন্দু আগেই জানিয়েছিলেন। সেই সভা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও করতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও ছিল। কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুকে বৈঠকে বসাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। বৈঠক হওয়ার পরে শুভেন্দু সম্পর্কে তৃণমূলের মুখপাত্রের মন্তব্যও দলীয় স্তরে গুরুত্ব পাচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু বা দোলা সেনরা এ যাবত শুভেন্দু সম্পর্কে ‘আক্রমণাত্মক’ মন্তব্যই করে এসেছেন।

আরও পড়ুন: পরিচয় পত্র, আর্থিক সুরক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে কুলতলিতে অবরোধ পরিযায়ী শ্রমিকদের

এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু বৃহস্পতিবার কী বলবেন রামনগরের সভা থেকে, তৃণমূল-সহ রাজনৈতিক শিবিরের নজর সে দিকেই। প্রসঙ্গত, রামনগরের ওই সভার সময় ছিল বেলা ১১টা। তা পিছিয়ে বেলা ২টো করা হয়েছে বলে বুধবার রাতে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement