সতর্ক পুলিশ, সিসি ক্যামেরায় চোখ মাঠে

এ নিয়ে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশের কটাক্ষ“, “তৃণমূলের সভায় পুলিশ অতি তৎপর ছিল। অথচ এই পুলিশই প্রধানমন্ত্রীর সভায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

সদলবলে: মেদিনীপুরের কলেজ-কলেজ স্কুলের মাঠের সভায় তৃণমূলের নেতারা। শনিবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনেক সিসি ক্যামেরাই কাজ করেনি। সভার মাঠে ঠাউনি ভেঙে বিপত্তির পরে সে কথা জানা যায়। দুর্ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ না মেলায় শোরগোল পড়ে পুলিশের অন্দরে।

Advertisement

মেদিনীপুরের সেই কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে শনিবার তৃণমূলের পাল্টা সভায় তাই আগাম সতর্ক ছিল পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের ওই সভায় মাঠ জুড়ে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা ছিল। তাতে চোখ রেখেছিল পুলিশও। সভাস্থলেই ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলা হয়েছিল বলে তৃণমূলের এক সূত্রে খবর। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মানছেন, “সভাস্থলে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা ছিল। পুলিশের পরামর্শ মেনেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’’ এ নিয়ে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশের কটাক্ষ“, “তৃণমূলের সভায় পুলিশ অতি তৎপর ছিল। অথচ এই পুলিশই প্রধানমন্ত্রীর সভায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’’

১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সভায় ২৪টি সিসি ক্যামেরা ছিল। কিন্তু সভা চলাকালীন চালু ছিল মোটে ৮টি। ৩টির জায়গায় ডিভিআর সেটও ছিল মোটে একটি। তবে এ দিন সভার মাঠে সব মিলিয়ে ২২টি সিসি ক্যামেরা ছিল। মঞ্চে ছিল, মঞ্চের আশেপাশে, এমনকী মাঠে ঢোকার গেটেও সিসি ক্যামেরা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যে সংস্থা সিসি ক্যামেরা সরবরাহ করেছিল, এ দিন তৃণমূলের সভাতেও সেই সংস্থাই সিসি ক্যামেরা দিয়েছে। সংস্থার মালিক সুবীর সামন্তের স্বীকারোক্তি, “সভার মাঠে ডিভিআর সেট ছিল। সব সিসিটিভি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা যেমন আমাদের কর্মীরা দেখেছেন, তেমন পুলিশও দেখেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন