যুব কংগ্রেসের ২১ জুলাই বহু কাল হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের মুখ্য কর্মসূচি। কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ অগস্ট হয়ে উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রধান অনুষ্ঠান। দলে দলে কংগ্রেসের নেতা-বিধায়কদের হাতে পতাকা ধরিয়েছে তৃণমূল। এ বার সামাজিক মাধ্যমে তাদের আবেদনপত্রও তৃণমূল নকল করেছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস!
সামাজিক মাধ্যমে আদানপ্রদান বাড়ানোর জন্য ‘কানেক্ট উইথ আইএনসি’ নামে আবেদনপত্র তৈরি করেছে কংগ্রেস। নাম, যোগাযোগের ঠিকানা-সহ বেশ কিছু তথ্য দিয়ে যিনি আবেদনপত্র পূরণ করবেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে কংগ্রেস। দলের নানা কর্মসূচির খবর তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে। তাঁরাও সামাজিক মাধ্যমে সাধ্যমতো কংগ্রেসের বক্তব্য প্রচার করবেন। একই লক্ষ্য নিয়ে ‘কানেক্ট উইথ এআইটিসি’ নামে আবেদনপত্র ছেড়েছে তৃণমূলও। দলীয় সূত্রের খবর, নজরুল মঞ্চে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিটাল মিডিয়া কনক্লেভ করার পরেই ওই আবেদনপত্র প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের ফর্ম দেখেই হুবহু নকল করা হয়েছে! তৃণমূল সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, ওয়েবসাইট থেকে নমুনা আবেদনপত্র নামাতে গিয়েই বিপত্তি হয়ে থাকতে পারে!
কংগ্রেস তাদের ওই আবেদনপত্র করেছে ইংরেজিতে এবং বিভিন্ন রাজ্যে সংশ্লিষ্ট ভাষায়। তৃণমূল ইংরেজি, বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও আবেদনপত্র করেছে। দুই আবেদনপত্রই ইদানীং কালের ডিজিটাল রীতি মেনে ‘গুগ্ল ডক্’-এ পাওয়া যাচ্ছে। কংগ্রেস জাতীয় স্তরের ওই আবেদনপত্র করার আগেই অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস সামাজিক মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নেওয়ার জন্য আরও একটি প্রকল্প করে ফেলেছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের সমন্বয়কারী অনুপম ঘোষের বক্তব্য, কংগ্রেসের আবেদনপত্র বেরিয়েছে আগে এবং তার পরে প্রকাশিত তৃণমূলের ফর্ম সর্বভারতীয় দলের আবেদনের বিন্যাসের সঙ্গে প্রায় ৯০%-ই এক! অনুপমের কটাক্ষ, ‘‘কেউ যদি আমাদের দলের ভাল কাজ অনুসরণ করতে চায়, সেটা অবশ্য ভাল জিনিস!’’
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র জানাচ্ছেন, তাঁদের সামাজিক মাধ্যম দেখভালের টিমের কাছ থেকে বিষয়টি খোঁজ নেবেন। তবে তাঁর প্রাথমিক ধারণা, ‘‘গুগ্ল-এ কিছু নমুনা ফর্ম থাকে। সেখান থেকে নিতে গিয়ে এমন কিছু ঘটে থাকতে পারে। সচেতন ভাবে কিছু করা হয়েছে বলে হয় না।’’
কংগ্রেস অবশ্য শুধু সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়তা দেখিয়েই সন্তুষ্ট হচ্ছে না। রাস্তায় নেমে রাজনীতি করার লোক এ যুগে কমে যাচ্ছে, এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই তারা নতুন কিছু অনুসারী সংগঠন শুরু করেছে। যেমন, জাতীয় স্তরে শশী তারুরকে চেয়ারম্যান করে তৈরি হয়েছে ‘প্রফেশনাল কংগ্রেস’। আইনজীবী থেকে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, নানা পেশার মানুষকে নিজেদের পেশাদারি জগতেই কংগ্রেসের কাজ করার সুযোগ দিতে এই ভাবনা। আবার সোমেন মিত্র, সর্দার আমজাদ আলিরা এ রাজ্যে করেছেন ‘কংগ্রেস লিটারারি সার্কল’। শিক্ষা ও বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে এমন উদ্যোগ।