বামেদের পতন, বালিতে নিরঙ্কুশ তৃণমূল

ট্রেন্ড বজায় রাখল বালি। ২০১০ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে জিতে বোর্ড গঠন করেছিল বামফ্রন্ট। হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এ বারে ওয়ার্ড বিন্যাসের পর বালিতে আসন কমে দাঁড়িয়েছিল ১৬-তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:১৬
Share:

বালিতে তৃণমূলের উল্লাস। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

ট্রেন্ড বজায় রাখল বালি।

Advertisement

২০১০ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে জিতে বোর্ড গঠন করেছিল বামফ্রন্ট। হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এ বারে ওয়ার্ড বিন্যাসের পর বালিতে আসন কমে দাঁড়িয়েছিল ১৬-তে। ধারা বজায় রেখে সবকটি ওয়ার্ডেই জিতল শাসক তৃণমূল। বিরোধীদের কার্যত নক আউট করে মোট ভোটের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পেল তারা।

এই বিপুল জয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও তা মানতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়ের দাবি, “এই জয় আমাদের প্রত্যাশিতই ছিল। এলাকার মানুষ আমাদের বিপুর ভাবে সমর্থন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালিতে যে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন, মানুষ তার শরিক হতে চেয়েছে। বিরোধীরা যে সন্ত্রাসের কথা বলছেন তা যে কতটা ভুল, এই ফলেই তা পরিষ্কার।”

Advertisement

বালির প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিপুল ব্যবধানে জিতেছে শাসক দল। তবে সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ হল, পুরভোটের ফলেও কোথাও চার অঙ্কের নীচে কোনও ব্যবধানে জেতেননি শাসক দলের প্রার্থীরা। সবচেয়ে কম ব্যবধানে জিতেছেন ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেবি জানা। আর সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছেন ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণ মজুমদার। তাঁর জয়ের ব্যবধান ৮০৭০ ভেটের। ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে আবার মোট ভোটের প্রায় ৯০ শতাংশের ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন