ওভারহেড তার ছিঁড়ে স্তব্ধ ট্রেন

পরিকাঠামোগত গোলমাল যোগ হলে কী হতে পারে, রবিবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন কয়েকশো যাত্রী। ওভারহেড তার ছিঁড়ে যে ভোগান্তির শুরু হয়েছিল ভোরে, তার জের চলল বিকেল পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩২
Share:

ছুটির দিনে শিয়ালদহ শাখায় এমনিতেই ট্রেন থাকে কম। তার উপরে লোকাল ট্রেনের দেরির ব্যারাম সারার নয়। এই দুই সমস্যার সঙ্গে পরিকাঠামোগত গোলমাল যোগ হলে কী হতে পারে, রবিবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন কয়েকশো যাত্রী। ওভারহেড তার ছিঁড়ে যে ভোগান্তির শুরু হয়েছিল ভোরে, তার জের চলল বিকেল পর্যন্ত।

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ শিয়ালদহ শাখার সদর দফতরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে, রুট রিলে ইন্টারলকিং (আরআরআই) কেবিনের কাছে ছিঁড়ে পড়ে ওভারহেড তার। এমন ভাবে তারটি ছিঁড়ে যায় যে ওই সময়ে শিয়ালদহের কোনও প্ল্যাটফর্ম থেকেই কোনও ট্রেন ছাড়তে পারেনি। স্টেশনে ঢুকতেও পারেনি কোনও ট্রেন। সাড়ে চার ঘণ্টা চলে এই অবস্থা। গোটা ডিভিশনে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। বাতিল করতে হয় তিন জোড়া লোকাল ট্রেন, গড়ে প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে চলে ১৬টি লোকাল। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট করে দেরিতে শিয়ালদহে ঢুকেছে দার্জিলিং মেল-সহ ৬টি মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনও।

রেলের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ছেঁড়া তার জোড়া লাগানোর পরে এক থেকে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত কোনও মতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু বাকিগুলি থেকে তখনও তা করা যায়নি। এরও প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে (সাড়ে ৯টা নাগাদ) অন্য প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু, তত ক্ষণে যা দেরি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মাঝপথে আটকে পড়েছে বহু ট্রেন। তৈরি হয়েছে ট্রেনের জট। সেই জট ছাড়াতে লেগে গিয়েছে আরও চার ঘণ্টা। ফলে সব মিলিয়ে বিকেল পর্যন্ত শিয়ালদহের সব শাখাতেই ট্রেন চলাচল করেছে অনিয়মিত ভাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সপ্তশৃঙ্গে পা রাখলেন ‘ভাইয়া’

এ দিন রবিবার হলেও বছরের শেষে বেড়াতে যাওয়ার ভিড় ছিল প্রচণ্ড। তার উপরে একটি সরকারি সংস্থার চাকরির পরীক্ষাও ছিল।
ফলে বেলা বাড়তেই ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে রেলের তরফে ১২ কামরার ট্রেন চালানো হবে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখনও তা শুরু হয়নি। যাত্রীদের দাবি, প্রথমত রবিবার বাতিল ট্রেনের সংখ্যা কমানো হোক। অন্তত এখন বেড়াতে যাওয়ার যে ভিড় শুরু হয়েছে, তাতে ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ালে অন্য যাত্রীরা আর ট্রেনে উঠতেই পারবেন না।

কিন্তু যাত্রীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, শিয়ালদহ ডিভিশনের কর্তারা কিছুতেই ট্রেন বাড়ানোর বিষয়টিতে কর্ণপাত করছেন না। ফলে তাঁদের দুর্ভোগ কমারও কোনও লক্ষণ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন