বাহারি ছাতায় রঙিন খোয়াই হাট

বৃহস্পতিবার ভোট গণনার মধ্যে দিয়ে দেড় মাসের ভোট পর্ব শেষ হয়েছে। তার পর থেকে একটু করে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকের সংখ্যা।

Advertisement

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০০:৩০
Share:

রোদ থেকে বাঁচতে খোয়াই হাটে। নিজস্ব চিত্র

দূর থেকে এক ঝলক দেখলে মনে হবে ঠিক যেন লাল-নীল, সবুজ-হলুদের মেলা বসেছে। অনেকটা ছবির মতো দেখতে এই জায়গা খোয়াইয়ের হাট।

Advertisement

রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীদের যাঁর যতটুকু এলাকা, ঠিক তার মাথায় একটি করে পেল্লাই ছাতা। যাঁদের এলাকা বড়, তাঁদের ছাতার সংখ্যাও বেশি। রবিবার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা গেল এমনই এক ছবি।

ব্যবসায়ীরা জানালেন, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই পর্যটক সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। খুবই কমে যায় বীরভূমের ভোটের সপ্তাহে। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার মধ্যে দিয়ে দেড় মাসের ভোট পর্ব শেষ হয়েছে। তার পর থেকে একটু করে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকের সংখ্যা। শনিবার ঠিক যে মুহূর্তে ক্রেতারা এসেছিলেন, কিছু পরেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। তাই বিক্রির আশা থাকলেও মনমরা হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের। রবিবার, ছুটির দিন, পর্যটক বেশি হবে এই সম্ভবনা মাথায় রেখেই রোদকে উপেক্ষা করে তাঁরা হাটে এসে বসেছেন।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নামে ‘শনিবারের হাট’ হলেও বর্তমানে শনিবার এবং রবিবার সকাল থেকেই এক দল ব্যবসায়ী হাটে বসেন। অন্য দিনগুলিতেও বেশ কিছু ব্যবসায়ী বিকেলের দিকে হাটে আসেন। কিন্তু রোদ গরম দেখে পিছিয়ে গেলে চলবে না তাঁদের। কেননা দিনভর তাপপ্রবাহের পরে এই সময় বিকেলের দিকে প্রায়ই ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ বছর অনেকেই কিনেছেন বড় ছাতা।

কেউ কলকাতা গিয়ে, আবার সেখান থেকেও একসঙ্গে বেশ কিছু ছাতা বিক্রি করে গেছেন এক ব্যবসায়ী। গুণগত মান অনুযায়ী কোনও ছাতার দাম ৪০০, কোনওটা ৮০০ টাকা। দেখেও বোঝা গেল, কয়েকটি ছাতা ছাড়া বাকি সব নতুন। যাঁরা নতুন ছাতা কিনেছেন তাঁদের ছাতাগুলির রং কম-বেশি একই। তাতেই হাটের অমন বাহারি রং হয়েছে।

কিছু দোকান এবং রিসর্ট নিজেদের প্রচারের জন্য চেনা ব্যবসায়ীদের কিছু ছাতা দিয়েছেন। সেগুলিও ব্যবহার করছেন অনেকে। রবিবার দুপুরে অবশ্য হাতেগোনা কিছু পর্যটক ছিলেন হাটে। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে সেই সংখ্যা কিছু বাড়ে। শুরুর দিন থেকে হিসেব করলে খোয়াই হাটের পরিসর এখন বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। একটা অংশে তৈরি হওয়া আদি হাট ছাড়াও আরও চার জায়গায় বিক্ষিপ্ত হাট বসে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়।

বর্তমানে নম্বর অনুযায়ী হাটগুলি ভাগ হয়েছে। খোয়াইয়ের তিন নম্বর হাটের সভাপতি ইনসান মল্লিক বললেন, ‘‘গরম পড়তে হাটের ভিড় কমতে শুরু করেছিল।

ভোটপর্বে গত দেড় মাস খুব লোকসান হয়েছে। কম দামে জিনিস বিক্রি করেছি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই রোদেও বড় ছাতা ব্যবহার করে জিনিস বিক্রি করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন