২১ ঘণ্টা পর বর্ধমান লাইনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হল। ফাইল চিত্র।
বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হল। প্রায় ২১ ঘণ্টা পর পরিষেবা স্বাভাবিক করা গিয়েছে। বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাতে শক্তিগড়ের কাছে একটি লোকাল ট্রেনের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বর্ধমান থেকে ব্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। একটি মালগাড়ির সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। ওই মালগাড়ির বগিও লাইনচ্যুত হয়েছিল।
বুধবার রাত থেকেই এই দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। বগিগুলিকে লাইন থেকে সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন রেলের কর্মীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ সবক’টি বগি লাই থেকে সরানো সম্ভব হয়েছে। ট্রেন চলাচলও পুরোপুরি স্বাভাবিক।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া বিভাগের ডিআরএম মণীশ জৈন এবং পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমর প্রকাশ দ্বিবেদী। তবে রাতে লাইনচ্যুত ট্রেন সরানোর কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হয়। ওই সময়ে বিভিন্ন ট্রেন অন্য লাইনে ঘুরিয়ে দেয় রেল। দুর্ঘটনার জেরে ডাউন লাইনে প্রায় ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
শক্তিগড়ের এই দুর্ঘটনার জন্য লোকাল ট্রেনের চালককেই দায়ী করেছে রেল। অভিযোগ, চালক লাল সিগন্যাল অগ্রাহ্য করে ট্রেন নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি। রেলের পরিভাষায় একে বলা হয়, ‘সিগন্যাল পাস্ড অ্যাট ডেঞ্জার’ (এসপিএডি)। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।