জোর দলের ইতিহাসে

যুব তৃণমূলের ডাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির ছিল শনিবার। জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে বাছাই করা কর্মীদের ডাকা হয়েছিল। ছাত্র-যুবদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৮ ০২:১১
Share:

শিবির: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের প্রশিক্ষণ। নিজস্ব চিত্র

একুশে জুলাই জানা আছে? সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ শোনা গেল শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনীর হলে। যুব তৃণমূলের ডাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির ছিল শনিবার। জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে বাছাই করা কর্মীদের ডাকা হয়েছিল। ছাত্র-যুবদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি। এবার প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলেন, একুশে জুলাই কী হয়েছিল? প্রশ্নকর্তা মাইক নিয়ে এক-একজনের কাছে গেলেন। কেউ উত্তর দিলেন ‘‘সিপিএম হামলা করেছিল।’’ কেউ বললেন, ‘‘মহকুমায় সম্মেলন...।’’ প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘‘তৃণমূলে থাকতে হলে একুশে জুলাই জানতে হবে, নন্দীগ্রাম শিখতে হবে। দলের ইতিহাস, দলনেত্রীর লড়াই না জানলে তৃণমূল করা যাবে না।’’ এরপরেই ২১ জুলাই নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হল মিত্র সম্মিলনীতে।

Advertisement

প্রদেশ তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের অন্যতম আহ্বায়ক দীপ্তাংশু চৌধুরী বলেন, ‘‘শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য, যারা দলে এসেছে, তাদের কোনও স্থান নেই। তৃণমূলের অতীত ইতিহাস না জানলে দায়বদ্ধতা আসবে না। সে কারণেই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে।’’ ফেসবুকে তৃণমূলের কী কী ‘পেজ’ রয়েছে তা এ দিন দেখানো হয়েছে। দার্জিলিং জেলার জন্যও একটি পেজ খোলা হয়েছে। এ বার থেকে দলের ছাত্র-যুব যে কোনও সংগঠন, শাখা সংগঠনের অনুষ্ঠানের ছবি ও তথ্য ওই পেজে জানাতে হবে। কতজন তাতে অংশগ্রহণ করলেন তাও জানাতে হবে। আহ্বায়ক দীপ্তাংশুর কথায়, ‘‘একশো জনের ভিড়কে এক হাজার লোকের জমায়েত বলার দিন গিয়েছে। প্রতিটি সভা-কর্মসূচির ছবি দিতে হবে। তাতেই রাজ্য নেতৃত্ব জানতে পারবেন কোন কর্মসূচি কতটা সফল হলো।’’

রাজ্য নেতৃত্বকে নিজের মনের কথাও জানাতে পারবেন দলের কর্মীরা। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে বা মতপার্থক্য হলেও রাজ্য নেতাদের জানানো যাবে ডিজিটাল মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানোর জন্য ওয়ার্ড এবং বুথ ভিত্তিক দল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেই এলাকার জন্য ফেসবুক পেজ খুলে স্থানীয় উন্নয়ন এবং কর্মসূচির প্রচার চালাবে। কোনও পাড়ায় যতগুলি স্মার্টফোন রয়েছে সবগুলির নম্বর জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতারা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা জানানো হবে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে। এক যুব তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘ধরুন কোনও পাড়ার তিনটে মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পেল তাহলে সেই সাফল্য জানাতে হবে। একই সঙ্গে কেউ কন্যাশ্রী বা কোনও প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে না। তা জেনে নিয়ে সমাধান করতে হবে। এই কাজে ব্যবহার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াকে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন