corona virus

এখনও করোনা-মুক্ত আদিবাসী গ্রামগুলি

ভাঙড় ১ ব্লকের তাড়দহ পঞ্চায়েতের হাঁড়িপোতা, ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ১ পঞ্চায়েতের ঘাসখালি, হানাখালি, টিকিধারী, বাহিরপোতা, দাদুপাড়ার মতো আদিবাসী গ্রামগুলি থেকে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:১৫
Share:

প্রতীকী চিত্র

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এখনও থাবা বসাতে পারেনি করোনাভাইরাস। সম্প্রতি ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পরীক্ষা চালায় প্রশাসন। তাতে ভাঙড় ১ ব্লকের তাড়দহ পঞ্চায়েতের হাঁড়িপোতা, ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ১ পঞ্চায়েতের ঘাসখালি, হানাখালি, টিকিধারী, বাহিরপোতা, দাদুপাড়ার মতো আদিবাসী গ্রামগুলি থেকে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হানাখালি গ্রামে ১২০টি, ঘাসখালি গ্রামে ৭২টি, টিকিধারী গ্রামে ৫৫টি, বাহিরপোতা গ্রামে ৮২টি আদিবাসী পরিবার বাস করে। ভাঙড় ১ ও ২ ব্লক জুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে শুধুমাত্র ভাঙ্গড় ১ ব্লকের নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ৫২ জন, জাগুলগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০ জন, প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় ৩৪ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আধিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলির কী ভাবে করোনা-মুক্ত থাকল?
ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অনুমান, ওই সব গ্রামের মানুষ খুব একটা এলাকার বাইরে বের হন না। গ্রামেই খেতে, খামারে চাষবাসের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামের কিছু মহিলা শহর বা শহরতলিতে গৃহসহায়িকার কাজে গেলেও লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকমাস ধরেই তা বন্ধ রয়েছে। বাইরের কোনও লোকও ওই সমস্ত গ্রামে আসেন না বললেই চলে। এর ফলেই ওই সমস্ত গ্রামে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি।
ভাঙড় ১ বিএমওএইচ অনিমেষ হোড় বলেন, “আদিবাসী অধ্যুষিত ওই সব এলাকার মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তা ছাড়া, ওঁরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশাও করেন না। যে কারণে তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম।’’ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ভাঙড় ইউনিটের সভাপতি তথা আদিবাসী অধ্যুষিত ভাঙড়ের ঘাসখালি গ্রামের বাসিন্দা বিপি মুন্ডা বলেন, “আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকার বাইরে কোথাও কাজে যাচ্ছি না। বাইরের কোনও লোকজনকে গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছি না। আমরা চেষ্টা করছি সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে। যে কারণে এখনও পর্যন্ত আমাদের এই সব এলাকায় করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই।”
ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি বলেন, “আমরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করছি। যে সব এলাকা এত দিন করোনামুক্ত ছিল, সেখানে নতুন করে কোনও আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে যান, তাঁদেরও চিহ্নিত করে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।”

Advertisement

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন