রাজ্যের দিকে দিকে শাসক দলে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের খবর আসছে প্রায় রোজই। রাজপুর-সোনারপুরে এ বার একেবারে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জগদ্দলের ধামাইপাড়া এলাকায়। অভিযুক্তেরা অবশ্য জানান, ওই কাউন্সিলরের লোকজনই তাঁদের মারধর করেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কাউন্সিলর সোনালি রায় এ দিন দুপুরে গফ্ফর শেখ নামে এক ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, রাজপুর বাজার এলাকার একটি আবাসনে গফ্ফর অবৈধ নির্মাণ করেছেন। গফ্ফরের অভিযোগ, ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। গফ্ফর পরে বিষয়টি জানান ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনোয়ার শেখকে।
দলের কিছু কর্মী ও গফ্ফরকে নিয়ে আনোয়ার ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে যান। ওই নির্মাণ নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। সোনালিদেবীর অভিযোগ, বচসার মধ্যেই আনোয়ার তাঁর হাত মুচড়ে দেন। আনোয়ারের সঙ্গীরা ঘরের আসবাবপত্র, ফুলের টব ভাঙচুর করে। অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার বলেন, ‘‘ওই সময় শুধু উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়েছিল। উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ঘটনার পরে উনিই মোটরসাইকেল বাহিনী পাঠিয়ে আমাদের মারধর করেন।’’
এ দিনই একবালপুরে শাসক দলের সমর্থক দুই প্রোমোটারের দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, প্রোমোটিং ও এলাকা দখল নিয়ে গোলমাল বাধে একবালপুরের মৌলানা মহম্মদ আলি লেনে। মহম্মদ ওয়াসিম ওরফে লম্বু নামে এক প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, লম্বুর সঙ্গে আলাউদ্দিন নামে অন্য এক প্রোমোটারের গোলমাল দীর্ঘদিনের। লম্বুর নামে পুলিশের খাতায় অনেক অভিযোগ আছে। এ দিন লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে এবং আহত তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।