সভার মাঠ কই, হন্যে বিজেপি

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার জন্য মাঠ খুঁজতেই  হিমশিম খেতে হচ্ছে বীরভূম জেলা বিজেপিকে। পুরসভা, পুলিশ এবং সেচ বিভাগ মাঠ না দেওয়ায় সিউড়ি শহরের প্রান্তে জেলাশাসকের বাংলোর কাছে একটি কৃষিজমিতেই অমিতের সভা হবে বলে দাবি করছেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার জন্য মাঠ খুঁজতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে বীরভূম জেলা বিজেপিকে। পুরসভা, পুলিশ এবং সেচ বিভাগ মাঠ না দেওয়ায় সিউড়ি শহরের প্রান্তে জেলাশাসকের বাংলোর কাছে একটি কৃষিজমিতেই অমিতের সভা হবে বলে দাবি করছেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়।

Advertisement

গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’য় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর দিন বুধবার বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি। জানানো হয়, শনিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ শেষ হওয়ার পর দিন থেকেই তিন দিনে বাংলা চষে পাঁচটি ‘গণতন্ত্র বাঁচাও সভা’ করতে চলেছেন অমিত শাহ। সেই তালিকায় ছিল বীরভূমের সিউড়িও। ২১ তারিখে সিউড়িতে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু অমিত সোয়াইন ফ্লু-য়ে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি ছিলেন। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই সব ক’টি সভা হবে বলে বৃহস্পতিবার সিউড়ি এসে দলের শীর্ষনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করলেও আখেরে সভা পিছিয়ে যায় দু’দিন।

জেলা বিজেপি জানাচ্ছে, অমিতের সফর সূচিতে বদল হয়েছে। তিনি ২১ তারিখের পরিবর্তে সিউড়ি আসছেন ২৩ জানুয়ারি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছিলই। কিন্তু মাঠ খুঁজতেই ঘাম ছুটে গিয়েছে—বলছেন দলের নেতারা। তাঁদের দাবি, প্রথমে সভার জন্য সিউড়ির সেচ কলোনির মাঠের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, সেচ দফতর জানিয়ে দেয়, কোনও রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি সেখানে পালিত হয় না। দ্বিতীয় যে মাঠ সভার জন্য চেয়েছিল বিজেপি, সেটা হল জেলা স্কুলের মাঠ। নেতৃ্ত্বের দাবি, যেহেতু মাঠটি এখন পুরসভা দেখভাল করে, আবেদন জানানো হয়েছিল সেখানেই। কিন্তু অন্য কর্মসূচি রয়েছে জানিয়ে মাঠ দেওয়ায় আপত্তি করেছে তৃণমূল পরিচালিত সিউড়ি পুরসভা। এর পরে ভাবা হয়েছিল, পুলিশ লাইনের উল্টো দিকের প্যারেড গ্রাউন্ড। কিন্তু সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। ওখানেই কুচকাওয়াজ আছে জানিয়ে মাঠ দিতে রাজি হয়নি জেলা পুলিশ। রামকৃষ্ণবাবুর কথায়, ‘‘সিউড়িতে সভা করতে অগত্যা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘেঁষা জেলাশাসকের বাংলোর কাছে কৃষিজমিই বাছতে হয়েছে। যা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের মালিকানায় রয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রশাসনিক অনুমতি।’’ আপাতত সেই অনুমতির অপেক্ষায় জেলা বিজেপি-র নেতারা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন