আয়ু শেষ কল্যাণ সমিতির, সমস্যায় শৈশব

বৃহস্পতিবার দুপুরে দমদম রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ওই কিশোরকে এ-দিক ও-দিক ঘুরতে দেখে এক জিআরপি-কর্মী তার কাছে গিয়ে বাড়ির ঠিকানা জানতে চেয়েছিলেন। তখন জানা যায়, কোনও ভাবে ট্রেনে চড়ে ঝাড়খণ্ডের ওই কিশোর দমদমে পৌঁছেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৪
Share:

ঝাড়খণ্ডের ১২-১৩ বছরের এক কিশোরকে উদ্ধারের পরে তাকে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে দমদম জিআরপি!

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে দমদম রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ওই কিশোরকে এ-দিক ও-দিক ঘুরতে দেখে এক জিআরপি-কর্মী তার কাছে গিয়ে বাড়ির ঠিকানা জানতে চেয়েছিলেন। তখন জানা যায়, কোনও ভাবে ট্রেনে চড়ে ঝাড়খণ্ডের ওই কিশোর দমদমে পৌঁছেছে। নিয়ম অনুযায়ী অভিভাবক ছাড়া কোনও শিশু বা কিশোরকে পাওয়া গেলে স্থানীয় চাইল্ড লাইনে খবর দিতে হয়। চাইল্ড লাইন পুলিশের সাহায্যে তাকে নিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে। সেই সমিতির নির্দেশে শিশু বা কিশোরটির ঠাঁই হয় কোনও হোমে।

কিন্তু ঝাড়খণ্ডের কিশোরটিকে যে-শিশু কল্যাণ সমিতির সামনে হাজির করানোর কথা, তারা এ দিন জানিয়ে দেয়, কোনও নির্দেশ দেওয়া যাবে না। কারণ, সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি। বিপাকে পড়ে যায় দমদম জিআরপি। চাইল্ড লাইনে ছেলেটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে তারা। ওই কিশোরের নিরাপত্তার খাতিরে আপাতত তাকে নিজেদের কাছে রেখেছে চাইল্ড লাইন। কোনও নির্দেশ ছাড়াই।

Advertisement

এই সমস্যা শুধু কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির নয়। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা শিশু কল্যাণ সমিতিরও মেয়াদ ফুরিয়েছে গত কয়েক মাসে। ফলে ওই সব এলাকায় কোনও শিশু বা কিশোর-কিশোরীকে উদ্ধার করা হলে তাদের কোথায় রাখা হবে এবং কার নির্দেশে রাখা হবে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার শিশু কল্যাণ সমিতির মেয়াদও শেষ হয়েছে বলে জানায় রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর।

ওই দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এ দিন জানান, বাচ্চাদের সুরক্ষার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মুর্শিদাবাদের শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে এই পাঁচটি জেলার শিশু-কিশোরদের হাজির করানো হবে। তবে তার জন্য বাচ্চাদের মুর্শিদাবাদে নিয়ে যেতে হবে না। মুর্শিদাবাদ সমিতির সদস্যেরাই কলকাতায় এসে এখানকার মামলাগুলি সামলাবেন।

আর নতুন কমিটি?

‘‘নতুন আইনে এত নতুন নতুন নিয়মের কথা বলা হয়েছে যে, সেগুলো মেনে সমিতি তৈরি করতে সময় লাগবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা তৈরির চেষ্টা করছি,’’ বললেন শিশু কল্যাণ মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন