Tapas Paul

আরও অনেক... দেখতে পাবেন, তাপস পালের রহস্যময় মন্তব্যে জল্পনা

এজলাসে বিচারকের সামনে শনিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। শুনানি চলাকালীন ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন আদালতে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই ম্রিয়মান ভাব অনেকটা উধাও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:০৪
Share:

ফাইল চিত্র।

এজলাসে বিচারকের সামনে শনিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। শুনানি চলাকালীন ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন আদালতে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই ম্রিয়মান ভাব অনেকটা উধাও। রবিবার ভুবনেশ্বরের সিবিআই অফিস থেকে বেরোনোর সময় জোর গলায় তাঁকে বারবার বলতে শোনা গেল, “আমি নির্দোষ। সম্পূর্ণ নির্দোষ। সব প্রমাণ হবে। দল আমার পাশে আছে।” জেলে থাকা রোজ ভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুই তাঁকে ফাঁসিয়েছে বলে মনে করছেন সাংসদ-অভিনেতা তাপস।

Advertisement

কিন্তু এর মধ্যেই তাঁর এক ‘আলটপকা’ উত্তর ঘিরে শুরু হয়ে গেছে তুমুল জল্পনা। গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন- আরও ৭-৮ জনের নাম নাকি শোনা যাচ্ছে? তাপস বলে ওঠেন, “আরও অনেক... দেখতে পাবেন, দেখতে পাবেন।” আরও অনেক কী, কী দেখতে পাওয়া যাবে, এর ব্যাখ্যা মেলার সুযোগ অবশ্য আর মেলেনি। তাপস পালকে নিয়ে এর পরেই চলে যায় সিবিআই-এর গাড়ি। কিন্তু এই রহস্যময় মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। আগেই সিবিআই সূত্রে খবর ছিল, ক্রমাগত জেরায় তাপস পাল ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। এমনকী বেশ কিছু প্রভাবশালীর নামও করেছেন তিনি যাঁরা গৌতম কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ, এবং যাঁদের জেরা করলে নতুন তথ্য মিলবে বলে তিনি নিশ্চিত। এমনই দাবি তদন্তকারীদের।

এ দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেই ক্ষান্ত থাকেননি তাপস। অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দিকেও। তাঁর দাবি, রোজ ভ্যালির সঙ্গে বাবুলও যুক্ত। গৌতম কুণ্ডু তাঁকে ঘরের ছেলে বলে ডাকত। তবে তাপস পালের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ খারিজ করেছেন বাবুল। পাল্টা তিনি বলেন, “শিল্পী হিসাবে রোজ ভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ। যাবতীয় লেনদেন চেকে হয়েছে। সিবিআই চাইলে দিতে রাজি।”

Advertisement

আরও খবর: তিন দিনের সিবিআই হেফাজত, অনেকের নাম বলছেন তাপস পাল


শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাপস পাল।

গত শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ম্যারাথন জেরার পর সিবিআই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাপস পালকে। রাতারাতি তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয় ‘তদন্তের স্বার্থে’। পর দিন আদালতে তোলা হলে দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাবের মধ্যে এজলাসে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাপস। বিচারক তাঁকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। গ্রেফতারির পর গত দু’দিন সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তাপস। এমনকী তাঁর স্ত্রী নন্দিনীও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন সকালে সিবিআই ফের জেরা করে তাপসকে। কয়েক ঘণ্টা জেরার পর যখন তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে নিয়ে বেরোন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

তাপসের স্ত্রী নন্দিনীও এ দিন সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন। তাঁর দাবি, তাপস পাল বেআইনি ভাবে কোনও টাকা নেননি। কোনও দু’নম্বরি কাজ করেননি। ছবি করেই তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি নন্দিনীর। তাপসকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশেই’ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন