(বাঁ দিকে) বাবা সাধন দাস এবং বাবার সঙ্গে ছেলে সৌভিস দাস (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি ভেবে তাঁদের মারধর করেছে হরিয়ানার পুলিশ! সে রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে এমনই অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের দুই বাসিন্দা। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার গোপালনগরের বাসিন্দা। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে।
গোপালনগর থানা এলাকার দিঘারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকপুরের বাসিন্দা সাধন দাস এবং তাঁর ছেলে সৌভিক দাস হরিয়ানার গুরুগ্রামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সম্প্রতিই তাঁরা গ্রামে বাড়িতে ফিরে আসেন সপরিবার। তাঁদের অভিযোগ, ভিন্রাজ্যে পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়ে তাঁরা পালিয়ে এসেছেন।
বাবা-ছেলে জানান, গত ২৭ জুলাই কাজে যাচ্ছিলেন সাধন। সেই সময় তাঁর পথ আটকায় হরিয়ানা পুলিশ। জানতে চায়, তিনি কোথায় যাচ্ছেন। সাধন বাংলায় উত্তর দিতেই মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সাধনের কথায়, ‘‘বাংলায় কথা বলতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। স্টিলের লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। এলাকা ছাড়তে বলেছে। এর পরেই কোনও রকমে ছেলে-বৌমাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে এসেছি আমি।’’
সাধন-সৌভিক দু’জনের শরীরেই গায়ে কালশিটে। সৌভিকেরও দাবি, তিনিও পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। যুবক বলেন, ‘‘আমাকে তিন দিন ধরতে এসেছিল পুলিশ। স্ত্রীকে ঘরে বন্ধ করে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তিন দিন ধরে পালিয়ে বেরিয়েছি। পুলিশ আমার মোবাইল কেড়ে ভেঙে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে সব কিছু ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছি আমরা। আর হরিয়ানায় কাজ করতে যেতে চাই না।’’
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দ্বারস্থ হন ‘নিগৃহীত’ বাবা-ছেলে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ভিন্রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা করছে সেখানকার পুলিশ। যে বাঙালি দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিল, তাদেরই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। আগামী দিনে প্রতিবাদ হবে।’’