কলেজ ক্যান্টিনে পুষ্টিকর খাবারের নির্দেশ ইউজিসির

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য পুষ্টি অভিযানের ডাক দিয়েছে ইউজিসি। সম্প্রতি ইউজিসির একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কলেজ ক্যান্টিনে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব রজনীশ জৈন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

কলেজ ক্যান্টিনে কী খাবার রাখা হবে তার কি নজরদারি হতে চলেছে এ বার?

Advertisement

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য পুষ্টি অভিযানের ডাক দিয়েছে ইউজিসি। সম্প্রতি ইউজিসির একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কলেজ ক্যান্টিনে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব রজনীশ জৈন। সেখানে লেখা আছে, পরিস্রুত পানীয় জল, পরিষ্কার শৌচালয়, হাত পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে কলেজে। পড়ুয়ারা যেন পুষ্টিকর সুষম খাবার পান সেদিকে নজর রাখতে হবে। এমনকি, কী কী করা হচ্ছে তা ক্যাম্পাসে বোর্ডে লিখে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী পদক্ষেপ করল, তা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসির এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মাধ্যমে এখনও তাঁদের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন কলেজ-অধ্যক্ষরা। পড়ুয়াদের স্বার্থে এই বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে ক্যান্টিনে কী ধরনের খাবার রাখা হবে, সেই খাবার আমিষ না নিরামিষ হবে এই নিয়ে কোনও নজরদারি না রাখাই শ্রেয় বলে মনে করছেন অধিকাংশ অধ্যক্ষ।

Advertisement

বেথুন কলেজের অধ্যক্ষ মমতা রায় জানালেন, তাঁদের ক্যান্টিনে যেন জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড না রাখা হয় সেই দিকে তাঁরা ইতিমধ্যেই নজর রাখছেন। মমতাদেবী বলেন, ‘‘২০১৬ সালে এ ধরনের নির্দেশ এসেছিল। সেটাই এখনও চলছে।’’

অন্য দিকে, নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘আমাদের কলেজের ক্যান্টিনে পুরসভা থেকে এসে খাবারের মান পরীক্ষা করে যায়। তবে পড়ুয়াদের পছন্দের খাবারও বিবেচনা করা দরকার। ’’

অন্য দিকে বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডুর মতে, ‘‘ক্যান্টিনে যদি পড়ুয়াদের পছন্দের খাবার দেওয়া না হয় তাহলে সেই ক্যান্টিন চলবে না। তবে সেই কারণে খাবারের মান খারাপ হওয়া একেবারেই কাম্য নয়।’’

লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার বলেন, ‘‘আমাদের কলেজের চারটি ক্যান্টিনে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবারই রাখা হয়। মুড়ি-ছোলা থেকে শুরু করে রুটি তরকারি যে খাবারগুলো পেট ভরবে অথচ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয় এমন খাবারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। রাখা হয় ফল ও স্যালাডও।’’ শিউলিদেবী জানান, বাঙালিরা আমিষ খাবার খেতে বেশি ভালবাসে। তাই আমিষ খাবারও রাখা হয় ক্যান্টিনে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা আছে, তা জানতে আগ্রহী শিউলিদেবী।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী অবশ্য ইউজিসির এই রকম নির্দেশের কথা এখনও জানেন না বলেই জানিয়েছেন। তবে বাসববাবুর বক্তব্য, ‘‘ইউজিসির নির্দেশ এলে আমরা তা পালনের চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রেও দেখব কী করা যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন