Chandannagar Unnatural Death

চন্দননগরে স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী প্রৌঢ়, লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা ছিল! বলছেন স্থানীয়রা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে কলুপুকুর গড়ের ধার এলাকার একটি বাড়িতে একই পরিবারের তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসে চন্দননগর থানায়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১০:১৬
Share:

চন্দননগরে স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন প্রৌঢ়। —নিজস্ব চিত্র।

প্রথমে স্ত্রী এবং কন্যাকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন। তার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রৌঢ়। বুধবার গভীর রাতে চন্দননগরের এই ঘটনায় ট্যাংরা এবং হরিয়ানার পঞ্চকুলার ঘটনার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা ছিল ওই পরিবারের। আর সেই কারণেই মানসিক অবসাদ থেকে ওই প্রৌঢ় স্ত্রী-কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনেকের অনুমান। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কলুপুকুর গড়ের ধার এলাকার একটি বাড়িতে একই পরিবারের তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসে চন্দননগর থানায়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় বছর একষট্টির বাবলু ঘোষ, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং ১৩ বছরের কন্যা পৌষালি ঘোষের দেহ। রাত ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবলু আগে একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। কিছু দিন টোটো চালিয়েছেন। পরে টোটোটি ভাইকে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে বাড়িতেই একটি দোকান চালাতেন। সেখানে সাট্টার প্যাড লিখতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েক জন। তাঁরাই জানিয়েছেন, বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ ছিল বাবলুর। তাই নিয়ে প্রায়ই চিন্তায় কথা বলতেন অনেককে। স্থানীয় এক জনের কথায়, “এমনিতে ওরা খুব ভাল ছিল। প্রায়ই ধারদেনা নিয়ে চিন্তা করত। বলতাম সব ঠিক হয়ে যাবে, চিন্তা করিস না। কিন্তু এমন কাজ করে ফেলবে বুঝতে পারিনি।”

Advertisement

প্রতিবেশীদের আর এক জন বলেন, “বুধবার বাবলু, এমনকি ওর স্ত্রীকেও ফোনে পাচ্ছিলাম না। সুইচড অফ বলছিল। সাড়াশব্দ না পেয়ে পাড়ার ছেলেরা কাচ ভেঙে দেখে, তিন জন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।” সকালে বাবলুর বাড়িতে যান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধারদেনা না কি অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাবল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

গত সোমবার রাতে দেনার দায়ে হরিয়ানার পঞ্চকুলায় পরিবারের সাত সদস্য একসঙ্গে বিষ খেয়েছিলেন। গাড়িতেই মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ছ’জনের। পরে মারা যান আরও এক জন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ট্যাংরায় একই রকম ভাবে ঋণগ্রস্ত দে পরিবারের সকলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। মৃত্যু হয় তিন মহিলা সদস্যের। গাড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে যান পরিবারের বাকি তিন জন সদস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement