প্রহৃত: নার্সিংহোমে জখম তৃণমূল নেতা তাপস সাহা। নিজস্ব চিত্র
আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের কার্ড বিলি নিয়ে গোলমাল বাধল দুর্গাপুরে। রবিবার দুপুরে ওই কার্ড বিলিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীরা তাঁদের পাল্টা মারধর করেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনি চাষিপাড়ায় ওই প্রকল্পের কার্ড বিলি করছিলেন পিওন। হঠাৎ সেখানে পৌঁছন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি তাপস সাহা ও দলের কর্মী সমর শিকদার। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পিওনকে তাপসবাবু হুমকি দেন, কার্ড বিলি করা চলবে না। তাতে রাজি না হওয়ায় পিওনের হাত থেকে দু’তিনটি কার্ড কেড়ে ছিঁড়েও দেন তাঁরা। পিওন ফিরে যান।
এর পরেই তাপসবাবুকে কয়েক জন বাসিন্দা প্রশ্ন করেন, ‘সরকারি সুবিধা নেব না কেন?’ অভিযোগ, এ নিয়ে চাপানউতোর চলাকালীন কয়েকজন লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়ে তাপসবাবু ও সমরবাবুকে মারধর করে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে পাঠায়। দু’জনেই মাথায় চোট পেয়েছেন।
দিন তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প থেকে রাজ্যের বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেন। শনিবারই কৃষ্ণনগর ও কালনায় কার্ড বিলিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরে এ দিনের ঘটনার পরে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির লোকজন লাঠি, বাঁশ হাতে কার্ড দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে আমাদের দলের দু’জন সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁরা কাউকে হেনস্থা করেননি। তবু মারধর করা হয়েছে!’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রবিবার দুপুরে পিওন চিঠি বিলি করছিলেন কী ভাবে?’’
বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই যদিও দাবি করেন, ‘‘ডাকঘরই কার্ড বিলি করছিল। এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেছেন।’’ ডাক বিভাগের আসানসোল ডিভিশনের প্রাক্তন সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রয়োজনে যে কোনও ছুটির দিনে পিওন কাজ করতে পারেন।’’