রক্তপাত: দুর্গাপুরের কাদা রোডে আহত পুলিশকর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
বুথ দখল থেকে বোমাবাজি, পুরভোটের দুর্গাপুরে রবিবার সকাল থেকে পরপর অভিযোগ উঠছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুপুরের পরে পাল্টে গেল অভিযুক্ত। পুলিশের উপরে হামলা, মোটরবাইকে আগুন ধরানো থেকে গাড়ি ভাঙচুরে নাম জড়াল বিজেপি-র। দিনের শেষে ভোট পড়েছে ৭৯.৮৩ শতাংশ।
ভোটের দিন বহিরাগতদের দৌরাত্ম্যের আশঙ্কা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। এ দিন সকাল থেকে অনেক ‘অপরিচিত’কে শহরে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। লাগোয়া নানা জেলা, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢুকিয়ে তৃণমূল বুথ দখল, ভোটারদের হুমকি, বিরোধী এজেন্টদের মারধর, ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
বুথ দখলের অভিযোগকে ঘিরেই সকালে গোলমাল বাধে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেনগেট এলাকায়। দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে অভিযোগে দফায়-দফায় জাতীয় সড়কে অবরোধ করে বিজেপি। অবরোধ তুলতে লাঠি চালায় পুলিশ। দুপুরে বিজেপি ভোট বয়কটের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু বিকেলে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাদা রোডে বুথে চড়াও হয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা, পুলিশের উপরে হামলা, রাইফেল ছিনতাই (পরে উদ্ধার হয়), দু’টি মোটরবাইক পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধেই। পরে মায়াবাজারে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে ইট ছোড়াতেও নাম জড়ায় তাদের।
আরও পড়ুন: নলহাটি দাপাল রাখি-বাহিনী
বিজেপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তাপস রায় অবশ্য অভিযোগ মানেননি। বহিরাগত আনার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিজেপি বাইরের লোক ঢুকিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। স্থানীয় মানুষ প্রতিরোধ করেছেন।’’
আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘মোটের উপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। একটি ঘটনায় পুলিশ আক্রান্ত হয়। খোঁজ চলছে অভিযুক্তদের।’’