মন্ত্রীর বিবৃতিতেও অনশন ‘প্রতীকী’

টানা দু’সপ্তাহ ধরে অনশন চললেও কর্তৃপক্ষ কেন এত দিনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

শামিল: অনশন ভাঙার পরে ভ্যানে চেপে মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রেরা। —নিজস্ব চিত্র।

মেডিক্যাল ছাত্রদের অনশনের রেশ এসে পড়ল বিধানসভায়। টানা দু’সপ্তাহ ধরে অনশন চললেও কর্তৃপক্ষ কেন এত দিনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা। বিধানসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ‘প্রতীকী’ অনশন বলে উল্লেখ করায় সভার মধ্যে এবং বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিরোধী বিধায়কেরা।

Advertisement

অধিবেশনের প্রথম পর্বে চন্দ্রিমাদেবী ‘প্রতীকী’ অনশন বলার সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি তোলে বিরোধীরা। তার পরেও আরও এক বার মন্ত্রী অনশনকে ‘প্রতীকী’ বলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, হস্টেলের আসন বণ্টনের দায়িত্বে থাকে কলেজ কাউন্সিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম মেনে সেই আসন বণ্টন হয়। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি জানান, হস্টেলের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ এসেছে। সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুমতি দেননি।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তিতে দুর্নীতি, স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ-সহ বিভিন্ন অভিযোগে কংগ্রেস এবং বামেরা মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল এ দিন। কিন্তু তা নিয়েও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। চন্দ্রিমাদেবীর বিবৃতির পরে বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভার ওয়েলে নেমে যান। স্পিকারের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, মান্নান, অসিত মিত্র-সহ অন্যদের। তার পরে তাঁরা ওয়াক আউট করেন এবং বাইরে কিছু ক্ষণ বিক্ষোভের পরে যান মেডিক্যাল কলেজে। পরে বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবু বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশেই যে প্রতীকী অনশন বলা হচ্ছে, সেটা রবিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং এ দিন ‘প্রতীকী মন্ত্রী’র বিবৃতিতে পরিষ্কার। সরকারের মনোভাব এতেই স্পষ্ট। দেরিতে হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সমাধান বার করেছেন।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন