West Bengal News

শহিদ গঙ্গাধরের দলা পাকানো দেহ কফিনবন্দি হয়ে ফিরল হাওড়ায়

উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানায় নিহত সেনা জওয়ান গঙ্গাধর দলুইয়ের (২২) কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হল তাঁর হাওড়ার বাড়িতে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের যমুনা বালিয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয় গঙ্গাধরের মরদেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:১৬
Share:

গ্রামে আনা হল শহিদ গঙ্গাধর দলুইয়ের দেহ। ছবি: সব্রত জানা।

উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানায় নিহত সেনা জওয়ান গঙ্গাধর দলুইয়ের (২২) কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হল তাঁর হাওড়ার বাড়িতে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের যমুনা বালিয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয় গঙ্গাধরের মরদেহ। গঙ্গাধর বিহার রেজিমেন্টে ছিলেন। এ দিন বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরাই তাঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় গঙ্গাধরের।

Advertisement

এ দিন ভোরে মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর কনভয় যমুনা বালিয়া গ্রামে পৌঁছায়। প্রথমে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। কফিন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা শিখা দলুই, বাবা ওঙ্কারনাথ দলুই ও ভাই বিনয় দলুই। নিজেদের সংযত রাখতে পারেননি প্রতিবেশীরাও। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। সেখানে কিছু ক্ষণ কফিন রাখার পর গঙ্গাধরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে গ্রামের শ্মশানে। সেখানে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গঙ্গাধরের মরদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাশ, হাওড়ার গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন এবং উপস্থিত সেনাকর্তারা। গ্রামবাসীরাও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গঙ্গাধরকে।

এর পর দাহ করার জন্য তাঁর দেহ কফিন থেকে বের করা হয়। জঙ্গি হামলার নৃশংসতায় দেহটি কার্যত দলা পাকিয়ে গিয়েছে। ভাই বরুণ দলুই মুখাগ্নি করার সঙ্গে সঙ্গে ১০ জওয়ান এক সঙ্গে তোপধ্বনি করে গান স্যালুট দেন। রাজ্য পুলিশের তরফেও গার্ড অব অনার দেওয়া হয় গঙ্গাধরকে।

Advertisement

কফিনবন্দি দেহ এল বাড়িতে। ছবি: সুব্রত জানা

আরও পড়ুন: পড়েই রইল ভাঙা বাড়ি, দেখা হল না বোনের বিয়ে

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগাম শুভেচ্ছা আনন্দ উৎসবে

আরও পড়ুন: বরণের সময় এল কাছে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement