Sandeshkhali row

ডিজি রাজীব ফিরতেই শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ি পুড়ে খাক! অশান্তির নতুন আগুন সন্দেশখালিতে

সন্দেশখালির ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির দিকে গ্রামবাসীরা যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজুদ্দিনের ভেড়ির আলাঘর পুড়ে খাক। ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০২
Share:

জ্বলছে শাহজাহানের ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর। — নিজস্ব চিত্র।

সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরার লক্ষণ নেই। ডিজি রাজীব ফিরতেই আবার আগুন জ্বলল। সকালে শাহজাহান বাহিনীর ‘দখল’ করা মাঠের পুনর্দখল নিয়েছিলেন মানুষ। বেলা গড়াতেই শাহজাহানের ভাইয়ের মাছের ভেড়ির আলাঘরে জ্বলল আগুন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শাহজাহানের অনুগামীরাই। আবার গ্রামবাসীদেরই অন্য একটি অংশের দাবি, আগুন দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

সকালে শাহজাহান অনুগামীদের ‘দখল’ করে রাখা ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দানে ঢুকে পড়েন গ্রামবাসীরা। সীমানা প্রাচীরে শাহজাহানের নাম লেখা ছিল। তাতে চুনকাম করে দেন। পুলিশ প্রশাসন গ্রামের কচিকাঁচাদের মধ্যে ফুটবল, জার্সি বিলি করেন। মাঠেই শুরু হয়ে যায় খেলাধুলো। তার পরেই খবর পাওয়া যায়, সন্দেশখালির ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির দিকে গ্রামবাসীরা যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজুদ্দিনের ভেড়ির আলাঘর থেকে পুড়ে খাক। ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

তবে কে আগুন দিল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, শাহজাহানের অনুগামীরাই আলাঘরে আগুন দিয়ে পালিয়েছে। শাহজাহান বাহিনী পালানোর আগে গ্রামবাসীদের ‘দেখে নেব’ বলে শাসিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। আবার, অন্য একটি অংশের দাবি, ক্ষুব্ধ হয়ে আগুন দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। তাঁদের দাবি, শুধু শাহজাহানই নয়, তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও এলাকার বাসিন্দাদের জমি কেড়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা সিরাজুদ্দিনের ‘বাঁ হাতের খেল’ বলেও দাবি গ্রামবাসীদের ওই অংশের। হাওয়া বদলের ইঙ্গিত পেয়ে তাই গ্রামবাসীরা নিজের জমি ফেরাতে পথে নেমেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন