ক্ষোভ জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র
বিনা দোষে গ্রামের এক ব্যক্তিকে ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বর্ধমান-সিউড়ি ২বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখলেন বাসিন্দারা। রবিবার আউশগ্রামের শিবদা গ্রামে এর জেরে আটকে পড়ল বহু গাড়ি।
এ দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করেন শিবদা গ্রামের শ’দেড়েক বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের নুরু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ কোনও দোষ ছাড়াই শনিবার সন্ধে থেকে আটকে রেখেছে। তাঁকে ছাড়াতেই গ্রামের মানুষ অবরোধে সামিল হন। তাঁরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি, আশপাশের দোকান থেকে বেঞ্চ নিয়ে এসে অবরোধ শুরু করেন। পরে রাস্তার উপরে বসেও পড়েন।
গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ অবশ্য জানায়, নুরু শেখের স্ত্রী কোহিনুর বিবি শনিবার বিকেলে অভিযোগ করেন, তাঁর কিশোরী মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার মতলব করেছে স্বামী। তার ভিত্তিতেই নুরুকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, ওই কিশোরী মামার বাড়িতে ছিল। পুলিশের কথা মতো শনিবার রাতেই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরেও পুলিশ নুরুকে ছাড়েনি বলে অভিযোগ।
রবিবার সকাল পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে না ছাড়ায় রাস্তায় নামেন গ্রামের বাসিন্দারা। বোলপুর-শান্তিনিকেতনের পথে পর্যটকেরা আটকে পড়েন। সেই সঙ্গে আটকে পড়ে সিউড়ি, তারাপীঠ, গুসকরা রুটের বহু বাস, বালি-পাথর বোঝাই গাড়িও। অবরোধে আটকে থাকতে হওয়ায় পর্যটকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশ অবরোধ তুলতে যথেষ্ট সক্রিয় নয় বলেও দাবি করেন তাঁদের অনেকে।
এরই মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে বর্ধমানে মাটিমেলার প্রস্তুতি দেখতে যাচ্ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও অবরোধে আটকে পড়েন। পরে তিনি বলেন, “স্থানীয় মানুষজনের দাবি শুনে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানাই। দাবি মিটতেই অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আমার পথ কেউ আটকাননি।”