WB Panchayat Election 2023

ভোটকর্মীদের সঙ্গী কার্বলিক অ্যাসিডও

দাবি উঠছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই উচিত কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া। ভোটকর্মীদের মতে, সবাইকে ছাতা দেওয়া কমিশনের পক্ষে হয়তো সম্ভব নয়। তবে কার্বলিক অ্যাসিড এই বর্ষায় খুবই প্রয়োজনীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ০৭:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ভরা বর্ষায় গ্রামে-গঞ্জে সাপের উপদ্রবের সঙ্গে স্থানীয়রা মানিয়ে নিলেও ভোট করাতে যাওয়া অধিকাংশ ভোটকর্মীই সেই পরিবেশে বেমানান। তাই তাঁদের কতিপয় জরুরি জিনিসের তালিকায় এ বার স্থান পাচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড-ও।

Advertisement

দাবি উঠছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই উচিত কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া। ভোটকর্মীদের মতে, সবাইকে ছাতা দেওয়া কমিশনের পক্ষে হয়তো সম্ভব নয়। তবে কার্বলিক অ্যাসিড এই বর্ষায় খুবই প্রয়োজনীয়। বহু প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুলবাড়িতে গিয়ে রাত কাটাতে হয় তাঁদের। সেই সব এলাকার পরিকাঠামো বিশেষ ভাল নয়। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কার্বলিক অ্যাসিড চাইলে না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই অনেক ভোটকর্মীর ‘নিতেই হবে’-র তালিকায় থাকছে কার্বলিক অ্যাসিড।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভোট হয় পচা গরমে। তাই সাধারণত ভোটকর্মীদের জন্য বরাদ্দ থাকে ওআরএস। মেডিকেল কিটে থাকে জরুরি কিছু ওষুধপত্র। সঙ্গে পানীয় জলের পাউচ।

Advertisement

সাম্প্রতিক অতীতে কোনও ভোট জুলাই মাসে হয়েছে, এমনটা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। গত পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল মে মাসে। শেষ বিধানসভা ভোট মে মাসের প্রথমে শেষ হয়েছিল। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটও হয়েছিল মে মাসে।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘কার্বলিক অ্যাসিডের মতোই বর্ষার মরশুমে যা যা দরকার, সব ব্যবস্থাই করতে হবে। যেমন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঢাকা গাড়ি। অনেককেই ভোটের দু’দিন আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে।’’

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার জানাচ্ছেন, তাঁর ভোটের ডিউটি পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকে। দু’দিন আগে সেখানে পৌঁছতে হবে। অনিমেষ বলেন, ‘‘শুনলাম নদী পেরিয়ে যেতে হবে। দু’রাত্রি থাকতে হবে। আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ভোটকেন্দ্র হওয়া অনেক স্কুলেরই জানলা ভাঙা থাকে। দরজা ঠিক মতো লাগানো যায় না। স্কুল চত্বরে ঝোপঝাড়। এ বার দীর্ঘদিন গরমের ছুটির পরে সেই ঝোপঝাড় নিশ্চয়ই বেড়েছে। সাপ ঢুকে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?” তাঁর মতে, রাতে স্কুল ভবনের চারপাশে ভাল করে কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া জরুরি। সঙ্গে রয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। অনেক কেন্দ্রে জেনারেটর থাকে না। লোডশেডিং হলে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয়। চিন্তা তাই নানাবিধ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন