প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে ও পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে তিনটি দাওয়াই দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এক, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে বৈদ্যুতিন নজরদারি। দুই, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল বা অন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে কড়াকড়ি। এবং তিন, পড়ুয়ারা ভাঙচুর করলে স্কুলের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়।
পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র থাকবে পর্ষদের স্টিকার লাগানো নির্দিষ্ট প্যাকেট। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার নিয়ম ১১টা ৪০ মিনিটে। ওই সময়ের আগে কেউ প্যাকেট খুললে পর্ষদের কাছে সার্ভারের মাধ্যমে খবর পৌঁছবে। তখন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কিন্তু কী ভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে, নিরাপত্তার কারণে তা জানাতে চাননি সভাপতি।
এ বছর পরীক্ষার ঘরে কোনও পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গেলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের নজরদার, কর্মী বা শিক্ষকের কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন, এ রকম চার জনের কাছে শুধু মোবাইল রাখার অনুমতি দিয়েছে পর্ষদ। কারণ, তাঁরা সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন পর্ষদের সঙ্গে।
তৃতীয় দাওয়াই পরীক্ষাকেন্দ্রে হাঙ্গামা ঠেকাতে। কল্যাণময়বাবু জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালালে তারা যে স্কুলের, তার কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত বছর বিভিন্ন জেলা থেকে টোকাটুকির খবর পৌঁছেছিল। যদিও কল্যাণময়বাবুর বক্তব্য, পরীক্ষায় টোকাটুকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আগামী সোমবার বেলা ১১টা ৪৫-এ পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। খাতা দেওয়া হবে ১১টা ৫০-এ। লেখা শুরু হবে ১২টা থেকে, চলবে বেলা ৩টে পর্যন্ত। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১১ লক্ষের বেশি, যা গত বছরের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার বেশি। অলিচিকিতে পরীক্ষা দেবে ৮২৯ জন।