পরীক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আটোসাঁটো করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ময়নাগুড়ির এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা দফতরের একাংশের মতে, ওই ঘটনার পরেই নয়া দাওয়াইয়ের কথা ভেবেছে সংসদ। যদিও শনিবার সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস দাবি করেন, সুরক্ষা বলয় তৈরির কাজ অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে।
মহুয়াদেবী জানান, রাজ্যে মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ২০৮৫টি। তার মধ্যে ১৫০টি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে পরিচয়পত্র-সহ দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভেনু সুপারভাইজারকে সাহায্য করা এবং প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা নিয়ে সার্বিক নজরদারি করবেন তাঁরা। তাঁদের কাছে মোবাইল ফোন থাকবে না।
প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা বিঘ্নিত হলে বা ফাঁস হলে তার দায় ‘ভেনু সুপারভাইজার’-এর উপরেই থাকবে। মহুয়াদেবী বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্রের প্রধান প্যাকেট খুলতে হবে সকাল সাড়ে ন’টায়। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় সকাল ১০টা।’’ ১০টা থেকেই পরীক্ষা শুরু। উচ্চ মাধ্যমিকেও অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় মেলে।
সংসদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে কি না, প্রতিটি ঘরে এক জন করে শিক্ষক তা নজর রাখবেন। মোবাইল-সহ কেউ ধরা পড়লে সংসদের ‘এগজামিনেশন সিকিউরিটি ফরম্যাট’-এ অভিযোগ দায়ের করা যাবে। কোন শিক্ষকের কাছে, কত নম্বর ঘরে কতগুলি প্রশ্নপত্র পাঠানো হচ্ছে, তার জন্য ‘কোয়েশ্চেন ডিস্ট্রিবিউশন ফরম্যাট’ তৈরি হয়েছে। থাকছে ভিডিও রেকর্ডিং ও সিসিটিভির ব্যবস্থাও।
আগামী ২৭ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ২৯ জন। এ বছরই প্রথম হিন্দিতে প্রশ্নপত্র করছে সংসদ। হিন্দি, উর্দু, সাঁওতালি ও নেপালি ভাষার পরীক্ষার্থীদের জন্য দোভাষী রাখা হবে। শংসাপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের উল্লেখ থাকবে।