মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
সংগঠনের কার্যকলাপে ছেদ পড়ছিল। সেটা প্রভাব ফেলছিল পদোন্নতিতেও। তাই আবার ‘সক্রিয়’ হচ্ছে ডব্লিউবিসিএস অফিসার সংগঠন।
আমলা মহল সূত্রের খবর, ডব্লিউবিসিএস এগ্জিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা হতে পারে দু’-এক মাসের মধ্যে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ডব্লিউবিসিএস অফিসার সংগঠনের বার্ষিক সভায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে সংগঠনের কোনও বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি।
বিসিএস সংগঠন একদা সক্রিয় ছিল। কিন্তু গত দু’বছরে তা ঝিমিয়ে পড়ে। এর মধ্যেই অন্য সার্ভিস থেকে পদোন্নতির হার বাড়ছে। একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, অডিট সার্ভিস থেকে যুগ্মসচিব, বিশেষ সচিবের সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানাচ্ছে, অডিট সার্ভিস ডিরেক্টরেটের অধীনে। ডিরেক্টরেট থেকে সচিবালয়ে পোস্টিং দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি আছে বিসিএস অফিসার মহলের একটি বড় অংশের। তাঁদের যুক্তি, সংশ্লিষ্ট পদে কাজ করতে গেলে বাণিজ্য শাখায় স্নাতক হতেই হবে, এমন নয়। সরকারি পরিকাঠামোয় যে-কোনও ডব্লিউবিসিএস অফিসার সেই দায়িত্ব সামলাতে সক্ষম। তাই এই ধরনের পোস্টিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ফের বার্ষিক সাধারণ সভা হলে এই সব বিষয়ে আলোচনা হবে। বিসিএস-রা ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বার্ষিক সাধারণ সভা করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।