জিততে হবে সব আসন, ডাক তৃণমূলের সম্মেলনে

দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সারা বছর আমরা উন্নয়ন করেছি, মানুষের পাশে থেকেছি। যারা থাকেনি তারা কী করে জিতবে?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩১
Share:

সভায় অরূপ বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে জিততে হবে, জেলা সম্মেলনে কর্মীদের ফের সেই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন হল জামালপুরে। সেখানে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সারা বছর আমরা উন্নয়ন করেছি, মানুষের পাশে থেকেছি। যারা থাকেনি তারা কী করে জিতবে?’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই সময়ে নানা কর্মসূচি থাকায় সম্মেলন এগিয়ে আনা হয়। এ দিন জামালপুর স্টেশন লাগোয়া মাঠে সম্মেলন থেকে নেতারা দলের কর্মীদের জোরকদমে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে নেমে পড়ার বার্তা দেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় পঞ্চায়েতের মোট ৩৩২৫টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৬১৮টি ও জেলা পরিষদের ৫৮টি আসন রয়েছে। কর্মীদের উদ্দেশে অরূপবাবু বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাবার তৈরি করে রেখেছেন। তা শুধু আপনাদের মানুষের কাছে পরিবেশন করতে হবে।’’

এখন থেকে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের সমস্যা জানার নির্দেশ দেওয়া হয় কর্মীদের। অরূপবাবুর পরামর্শ, এত দিন সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তাতে কোনও ফাঁক রয়ে গিয়েছে কি না জানতে হবে। কেউ উন্নয়নের ফল না পেয়ে থাকলে তাঁর কাছে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন, কন্যাশ্রী পেয়েছে কি না, খাদ্যসাথী পেয়েছে কি না। যদি না পেয়ে থাকেন তবে সাহায্য করুন।’’

Advertisement

এ দিন সভার শুরুতে দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে জেলা পরিষদের সদস্যদের নাম ধরে-ধরে ডাকেন। যাঁরা সময়ে পৌঁছতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তা দেখে অরূপবাবু বলেন, ‘‘স্কুল-কলেজে রোলকল হয়। দলীয় সভাতেও যে হয়, তা এই প্রথম দেখলাম। আমাদের দলে কতটা অনুশাসন রয়েছে, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’’

সভায় তৃণমূল নেতারা নাম না করে বিজেপি-কে আক্রমণ করেন। অরূপবাবুর অভিযোগ, ‘‘এলাকায় কিছু লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারে আছে বলে কোটি-কোটি টাকা তাদের কাছে রয়েছে। সংস্থা দিয়ে পতাকা-হোর্ডিং টাঙাচ্ছে। জেলায় চারটে লোক নেই। ভোটের আগে মিথ্যাচার করেছে। এখন আবার রেললাইন বন্ধ করতে চাইছে। আর এ সবের প্রতিবাদ করছেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি লাগাচ্ছে।’’ জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুর বক্তব্য, ‘‘যারা গরিবের উন্নয়ন করতে পারে না তারা রেললাইন বন্ধ করতে চাইছে। গরিব পাড়ায় ঢুকলে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন।’’

সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি উদয় সরকারের কটাক্ষ, ‘‘শাসকদলে কতটা শৃঙ্খলা রয়েছে, মানুষ হাড়ে-হাড়ে বুঝতে পারছেন। এতই যদি উন্নয়ন করেছে তবে স্বচ্ছ ভাবে ভোট করাতে পারে না কেন?’’ বিজেপি-র জেলার সাংগঠনিক সভাপতি সন্দীপ নন্দীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূলে কতটা অনুশাসন রয়েছে তা বাসন্তীর ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। মিথ্যাচার কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকার করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন