গড়িয়ায় শিলাবৃষ্টি।—নিজস্ব চিত্র।
চৈত্রের শুরুতেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব শহরে।
গুমোট গরমে বেশ কয়েক দিন ধরেই নাজেহাল হচ্ছিল রাজ্যবাসী। রবিবার বিকেলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হতেই স্বস্তি মিলল। কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।
এ দিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। বিকেল গড়াতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে আসে দক্ষিণ কলকাতা ও আশপাশের কিছু এলাকায়। বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ গড়িয়া, হরিদেবপুর এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নেমে আসে শিলাবৃষ্টিও। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় জল জমে যায়। সেই সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়ার ফলে আর জি কর রোডে, লেনিন সরণি, বোসপুকুর রোড, সাহাপুর রোড-সহ শহরের বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: অভিনন্দনের চোখ-হাত বাঁধা ভিডিয়ো দেখেই পাকিস্তানে মিসাইল তাক করেছিল ভারত!
আরও পড়ুন: আজহার নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বুঝি, সমস্যার সমাধান হবে, বললেন নয়াদিল্লির চিনা রাষ্ট্রদূত
পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ করছেন। রাস্তা থেকে যাতে দ্রুত জল নেমে যায় সে দিকেও নজর রাখছে কলকাতা পুরসভা।
অন্য দিকে, বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কলকাতা সহ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও আগাম সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হাওড়া, এবং হুগলি-তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও গরম কমবে বলে আশা আবহবিদদের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এভাবে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত চলবে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুত্ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।