ঘূর্ণিঝড়ের বাধায় ফের দেরি হতে পারে বর্ষার

নির্ঘণ্ট মোতাবেক ১ জুন না-এসে বর্ষা এ বার কেরলে ঢুকেছে ৮ জুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০৩:১৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

বঙ্গে বর্ষার পথে পথে এ বার পাথর ছড়ানো! এমনিতেই রাজ্যে আসতে দেরি হচ্ছে তার। তার উপরে ফের তার সামনে বাধার পাঁচিল তুলতে চলেছে আরব সাগরের একটি ঘূর্ণিঝড়। দিল্লির মৌসম ভবন জানায়, লক্ষদ্বীপের কাছে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহবিদেরা জানান, আরব সাগরে বর্ষা সক্রিয় হলেও পূর্ব ভারতে তার আগমনের ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে ওই ঘূর্ণিঝড়। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নাম আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। সেই তালিকা অনুযায়ী এ বারের শক্তিশালী নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘বায়ু’।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, ‘‘নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরেই বর্ষার উপরে তার প্রভাব পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাব বাড়বে। এ রাজ্যে বর্ষার পৌঁছতে আরও দেরি হবে বলেই মনে হচ্ছে।’’ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দিন তিনেক গাঙ্গেয় বঙ্গে গরম বাড়বে। মধ্য, উত্তর ও পশ্চিম ভারত জুড়ে তাপপ্রবাহের দাপট চলছে। এ দিন দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নির্ঘণ্ট মোতাবেক ১ জুন না-এসে বর্ষা এ বার কেরলে ঢুকেছে ৮ জুন। কেরলে মৌসুমি বায়ু ছড়িয়ে পড়লেও তার তেমন জোর নেই। ফলে ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত বর্ষার ঘাটতি ৪৬ শতাংশে পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গে ঘাটতি প্রায় ৫৬ শতাংশ। তা আরও বাড়তে পারে। খরার কবলে পড়া মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টির ঘাটতি যথাক্রমে ৭৫ এবং ৯১ শতাংশ। আবহবিজ্ঞানীরা জানান, বর্ষায় মৌসুমি বায়ুকে নিয়ে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলে। সেটাই বর্ষার ভারসাম্য বজায় রাখে। কোনও একটি সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা সেই উপকূলে মৌসুমি বায়ুকে সক্রিয় করে। কিন্তু অন্য উপকূলে দুর্বল হয়ে পড়ে বর্ষা। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে মৌসুমি বায়ুকে সে পশ্চিম উপকূলে বেঁধে রাখবে। বর্ষার প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হবে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রাজ্যগুলি।

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন