এই রথই ব্যবহার করা হতে পারে প্রচারে। —ফাইল চিত্র
রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রথযাত্রায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অনুমতি দিলে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে। কিন্তু বিজেপি অনড়। রথযাত্রা হবেই এ রাজ্যে, এমনটা জানিয়েছে তারা। এক দিকে রাজ্যের ‘নিষেধাজ্ঞা’, অন্য দিকে আদালতের রায়— এই দুইয়ের মাঝে পড়েই রথযাত্রার বিকল্প রাস্তা নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার দিল্লিতে রথযাত্রার বিকল্প রূপরেখা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অমিত শাহ। বৈঠকে রয়েছেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় এবং রাহুল সিংহ। বিকল্প রাস্তা বার করতে দফায় দফায় বৈঠক হয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। বিজেপি সূত্রে খবর, বুধ অথবা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত ঘোষণা করতে পারেন অমিত শাহ। তার আগেই এ দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত রূপরেখাটা কী হবে তা সেরে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।
বিজেপি বার বার দাবি করে আসছে, রাজ্য সরকার এটাকে রথযাত্রা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। কিন্তু আসলে এটা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই সেই গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে মমতার সরকার। কিন্তু ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ যে তারা বার করবেই সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছে, এই রথযাত্রা নিয়ে আদালত যা রায় দেবে সেটা মেনে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘রথযাত্রা’ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ইঙ্গিত, বৈঠকের ভিডিয়ো আর বিজেপির প্রতিশ্রুতি আজই চাইল আদালত
আরও পড়ুন: গুগ্লে ‘মৃত’ বাবুল সুপ্রিয়! টুইটারে ক্ষোভ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
রায় তাদের পক্ষে যাবে না কি বিপক্ষে সেটাই এখন ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। তবে রায় বিপক্ষে গেলে বিকল্প রাস্তা কী হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে দল। সূত্রের খবর, রথযাত্রার সেই বিকল্প রূপরেখা ঠিক করতেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের ম্যারাথন বৈঠক চলছে রাজধানীতে।