পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড় করিয়ে হারাব, তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের

তৃণমূল স্তরে এখনও সংগঠনের শিকড় পৌঁছয়নি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সাফল্য এবং সাম্প্রতিক রামনবমীর প্রচারে উৎসাহিত বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখনই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাখলেন তৃণমূলকে!

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

ডায়মন্ড হারবারের সভায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ছবি: দিলীপ নস্কর

তৃণমূল স্তরে এখনও সংগঠনের শিকড় পৌঁছয়নি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সাফল্য এবং সাম্প্রতিক রামনবমীর প্রচারে উৎসাহিত বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখনই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাখলেন তৃণমূলকে!

Advertisement

গত রবিবার ডায়মন্ড হারবার এসডিও মাঠে সভা করেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রবিবার সভা থেকে দিলীপবাবুর ঘোষণা, ‘‘সব ব্যবস্থা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী চার বছর টিকতে পারবেন কি না, সন্দেহ! পঞ্চায়েত ভোটে ওদের দাঁড় করিয়ে হারাব!’’ সভায় ভিড় ছিল । তা দেখে দিলীপবাবুর দাবি, মানুষ এখন বিজেপি-র দিকে ধেয়ে আসছে। সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘জেলা থেকে দলের কর্মী-নেতারা আমাকে জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েতে দাঁড়ালে নাকি মারধর করা হবে। বলেছি, গায়ে হাত দিয়ে দেখাক! এমন প্রতিরোধ হবে যে, ইতিহাস হয়ে যাবে!’’

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংগঠনের জোর নেই বুঝেই দিলীপবাবুরা এখন থেকে কর্মীদের তাতিয়ে রাখতে এমন কথা বলছেন। আর বিরোধী বাম ও কংগ্রেস নেতাদের মতে, গা গরম করা বক্তৃতার জেরে রাজ্যে মেরুকরণ ঘটানোই এখন গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য। দিলীপবাবুর সভায় এ দিন ডায়মন্ড হারবার, উস্তি, পূজালি এলাকা থেকে তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে প্রায় হাজারদুয়েক কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন বলে বিজেপি-র দাবি। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি (পশ্চিমাঞ্চল) অভিজিৎ দাস দাবি করেছেন, ‘‘মাঠ ভরাতে আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা থেকে বিরিয়ানি খাইয়ে, টাকা দিয়ে লোক আনতে হয়নি! মানুষ স্বেচ্ছায় কড়া রোদে দাঁড়িয়েছিল।’’

Advertisement

অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন-যজ্ঞের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-ইডি’র ভয় দেখাচ্ছে। দিলীপবাবু এ দিন পাল্টা বলেছেন, ‘‘গত রবিবার এই মাঠেই খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হয়েছিল! তিনি বলেছিলেন, সিবিআই এবং ইডি-কে দিয়ে ভয় দেখায় বিজেপি। আমার বক্তব্য, মামলা তো হয়েছিল কংগ্রেস আমলে। মামলাকারীরা হলেন এ রাজ্যের সিপিএম ও কংগ্রেস নেতা। আদালতের নির্দেশে সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে। এখানে বিজেপি-র লেলিয়ে দেওয়ার কথা এল কোথা থেকে?’’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির আরও চ্যালেঞ্জ, জেলে যেতে তিনি তৈরি আছেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন