প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিশুদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। রবিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চট্টোপাধ্যায় জানান, স্কুলে শিশুরা দিনের অনেকটা সময় কাটায়। সেই জায়গা কতটা সুরক্ষিত, এ বার সরেজমিন তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি জানান, জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনে চার বছরের শিশুর যৌন নিগ্রহের ঘটনার আগেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সপ্তাহে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কমিশনের আলোচনাও হয়। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয় প্রতিটি জেলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, কাউন্সিল ফর দি ইন্ডিয়ান স্কুল সর্টিফিকেট এগজামিনেশন এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের অধীনে থাকা বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করবেন তাঁরা। সেখানে শিশুরা কতটা সুরক্ষিত, তা সরেজমিন দেখা হবে। কোনও স্কুলে যদি নিরাপত্তার ফাঁক থাকে, তা হলে সেই ঘাটতি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে সুপারিশ করা হবে। কত জন পরিদর্শনে যাবেন, তা চূড়ান্ত হয়নি।
জি ডি বিড়লার ঘটনার পর থেকেই অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে প়ড়েছে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। শিশুর জন্য স্কুল কতটা নিরাপদ, স্কুলের শিক্ষকদের দ্বারাই শিশুটি আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে এমন প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রতিটি স্কুলেই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটিকে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে দফতর। এমনকী, জেলা স্কুল পরিদর্শকদেরও সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু গ্রামের বহু স্কুলেই পাঁচিল থাকে না বলে রিপোর্ট দিয়েছিল সর্বশিক্ষা মিশন। তার পরেও সেই অবস্থার উন্নতি হয়নি বলেই দাবি দফতরের একাংশের। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, ক্লাসে সহপাঠীদের হেনস্থা করাও রুখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
তবে কমিটি গঠন করে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির যে ভাবনা শুরু হয়েছে, তার প্রশংসাই করেছে শিক্ষা মহল। শহরের একটি স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু তাতেও যদি কোনও গলদ ধরা পড়ে, আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।’’ একই সুরে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিশুদের নিরাপত্তায় খামতি থাকলে সেটা শুধরে নেওয়া যাবে। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ।’’