Sujan Chakraborty

সিএএ-র বিরুদ্ধে আইনি পথে বঙ্গ সিপিএমও

সিএএ-র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও নানা মামলার সঙ্গেই রাজ্য সিপিএমের এই আবেদনের শুনানি হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০২
Share:

সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলের বাম সরকার। একই দাবিতে আইনে পথে হাঁটল বঙ্গ সিপিএমও।

Advertisement

ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার সংস্থান রেখে সিএএ সংবিধানে স্বীকৃত অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে, এই অভিযোগ তুলেই ওই আইন বাতিল করার দাবি করছে বামেরা। এই মর্মে রাজ্য সিপিএমের তরফে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং তাঁর সঙ্গীরা। সিএএ-র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও নানা মামলার সঙ্গেই রাজ্য সিপিএমের এই আবেদনের শুনানি হবে।

সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘সিএএ-র বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সকলের জানা। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে অগ্রাহ্য করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ওই আইনে বলা হয়েছে, এই মতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট মত জানিয়ে আমরা রিট পিটিশন দাখিল করেছি।’’ নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণার অবসান ঘটাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমন প্রচারে নেমেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ওই বক্তব্যের পাল্টা যুক্তিও দিচ্ছে সিপিএম। সুজনবাবুর অভিযোগ, ‘‘নাগরিকত্ব আইন ২০০৩ সালে সংশোধন করে অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অটলবিহারী বাজপেয়ী তখন প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সরকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওই সংশোধনী এনেই মানুষকে, বিশেষত এখানকার উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণার মধ্যে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। এখন তারা আবার কুমিরের কান্না কাঁদছে!’’

Advertisement

বিধানসভায় প্রথমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে এবং পরে সিএএ, এনপিআর, এনআরসি-র বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কেরলের মতো বাংলার সরকারও আদালতে মামলা করুক সিএএ-র বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে সুজনবাবুর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল সিএএ-র বিরোধিতা করছে। চাইলে তারাও তো মামলা করতে পারত! শাসক দল করেনি, আমরা করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন