প্রতীকী ছবি।
ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সেই লোকসান কমাতে পরিকাঠামোগত প্রযুক্তি পরিবর্তন করছে বিদ্যুৎ দফতর। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে নতুন নকশায়।
রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহক-সংখ্যা এখন এক কোটি ৮৫ লক্ষ। গ্রাহক বেশি গ্রামাঞ্চলেই। কিন্তু পরিকাঠামো ছাড়াও হুকিং, ট্যাপিং, মিটারে কারচুপি প্রভৃতি নানা কারণে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কয়েকশো কোটি টাকা লোকসান হয়। তাই এ বার নতুন নকশায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগামী কয়েক বছরে ২,৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি।
বণ্টন সংস্থার খবর, বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর আয়তন ছোট করা হচ্ছে। এখন কয়েক মাইল ধরে হাইভোল্টেজ তার টেনে একটি ১৩২ কেভি সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে ৩৩ এবং ১১ কেভি সাবস্টেশনের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে ২৩০ ভোল্টের বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট ছোট ট্রান্সফর্মার বা ফিডারের মাধ্যমে অল্প সংখ্যক গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। ছোট করে দেওয়া হবে লো-ভোল্টেজ তারের দৈর্ঘ্য, বাড়ানো হবে ছোট সাবস্টেশনের সংখ্যা। ভুল মিটার রিডিং এবং বিল আদায় না-হওয়ায় ক্ষতি বাড়ে। এই বিষয়ে কর্মীদের দায়িত্ববোধ বাড়ানোরও ব্যবস্থা হচ্ছে।