প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার চায়, প্রতিটি টেন্ডার বা দরপত্রের প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সংখ্যক সংস্থা যোগ দিক। সেই উদ্দেশ্যেই দরপত্র পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনল রাজ্য সরকার। পূর্ত দফতরের নতুন এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আবেদনপত্রে ছোটখাটো ভুল থাকার কারণে প্রাথমিক যাচাইয়েই বিভিন্ন আবেদনকারী সংস্থাকে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। দাখিল করা আবেদনপত্রে সামান্যতম খুঁত বা ভুল থাকলেই তা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কমে যাচ্ছে অংশগ্রহণকারী সংস্থার সংখ্যা। আধিকারিকদের বক্তব্য, এতে প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে যোগ্য সংস্থাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ কমে যায়। এমনকি কোনও কোনও দরপত্র প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত একটি মাত্র সংস্থা থেকে যায়। তখন হয় ফের দরপত্র ডাকতে হয় নতুবা শেষ পর্যন্ত টিকে যাওয়া ওই একটি মাত্র সংস্থাকেই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দ্বারস্থ হতে হয় অর্থ দফতরের। এই গোটা প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই এটার বদল চাইছে সরকার।
পূর্ত দফতরের নির্দেশ, দরপত্রের ক্ষেত্রে নিছক ‘ক্ল্যারিক্যাল মিসটেক’ বা তুচ্ছ ভুলের জন্য প্রাথমিক যাচাইয়ের সময় কোনও সংস্থাকে বাদ দেওয়া যাবে না। বরং আবেদনপত্রের ভুলের বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তা সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থা নথি দিয়ে অনলাইনে অথবা সরাসরি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভুল শুধরে নিলে দরপত্র প্রক্রিয়া থেকে তাদের ছেঁটে ফেলা যাবে না।
এক পূর্তকর্তা জানান, অনেক সময় দেখা যায়, ‘টেকনিক্যাল’ বা ‘ফিনান্সিয়াল বিড’ নিখুঁত থাকলেও সামান্যতম ত্রুটির জন্য কোনও কোনও সংস্থাকে বাদ পড়তে হচ্ছে। আবার কোনও কোনও সংস্থার প্রস্তাব হয়তো ততটা জোরদার নয়। ‘‘সুস্থ প্রতিযোগিতা যদি কাম্য হয়, তা হলে খুঁত-তত্ত্বে কোনও সংস্থাকে বাদ দেওয়ার প্রবণতা ইতিবাচক নয়। তা প্রকল্পের মান, খরচ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার উপরে প্রভাব ফেলতেই পারে,’’ বলেন ওই পূর্তকর্তা।