Firecracker

উৎসবের মরসুমে কবে, কত ক্ষণ ফাটানো যাবে আতশবাজি? জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার

সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির কেনাবেচা নিষিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গে। ২০২১ সালে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে বিষয়টি পৌঁছোয় সুপ্রিম কোর্টে। তার পরেই আদালতের নির্দেশ মেনে আতশবাজি ফাটানোর সময়সীমা জানিয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৫
Share:

উৎসবের মরসুমে আতশবাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সামনেই উৎসবের মরসুম। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো, দীপাবলি, ছটপুজো। তার মাসখানেক পর বড়দিন, নববর্ষ। উৎসবের সময় চারিদিক যেমন আলোয় সেজে ওঠে, তেমনই দেখা যায় আতশবাজির ‘ফোয়ারা’! তবে উৎসবের মরসুমে আতশবাজি ফাটানোর নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে এ রাজ্যে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই সময়ের উল্লেখ করেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি এ-ও জানান, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই উৎসবের মরসুমে আতশবাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধেছে রাজ্য।

Advertisement

আতশবাজি কখন ফাটানো যাবে? শব্দবাজির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য? আতশবাজি সংক্রান্ত শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার চন্দ্রিমা জানান, আতশবাজি ফাটানোর সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন সময় কত ক্ষণ বাজি পোড়ানো যাবে, তা-ও জানিয়ে দেন চন্দ্রিমা।

চন্দ্রিমা জানান, দীপাবলি এবং ছটপুজোতে দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ আতশবাজি। দীপাবলি উৎসবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে তা। আর বড়দিন এবং ইংরাজি নববর্ষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিটের মধ্যে আতশবাজি ফাটানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ লঙ্ঘনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। শুধু তা-ই নয়, শব্দবাজি নিয়ে যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে, তবে তা সরাসরি জানাতে পারবেন সরকারকে। হেল্পলাইন নম্বরেরও (১৮০০৩৪৫৩৩৯০) উল্লেখ করেন চন্দ্রিমা।

Advertisement

সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির কেনাবেচা নিষিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গে। ২০২১ সালে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে বিষয়টি পৌঁছোয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে সে বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ করেছিল। বেঁধে দিয়েছিল আতশবাজি ফাটানোর সময়ও। সেটাই বলবৎ থাকছে এ বছরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement