—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র সুপারিশ করতে পারে, বলতে পারে সহযোগিতার কথাও। তবে নগরায়ণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যই। আপাতত এই সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য জানাচ্ছে, তাড়াহুড়ো করে নতুন পুরসভা বা পুর নিগম গড়া হবে না।
দু’বছর আগেই সব রাজ্যকে নতুন পুরসভা, পুর নিগমের মতো স্বশাসিত সংস্থা তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্র। তাদের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক বলেছিল, এই ব্যবস্থা হলে রাজ্যগুলি চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বিধি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সহযোগিতা পাবে। ২০১৬-য় ২৮টি রাজ্যকে চিঠি লিখে মোট ৩৭৮৪টি ‘সেনসাস নগর’-এ স্বশাসিত সংস্থা তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের তালিকায় এ রাজ্যে ৭৮০টি সেনসাস নগরের কথা বলা ছিল। প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ৪০০ জনের বসবাস ধরে সেই জনঘনত্বের হিসেবে গোটা অঞ্চলে ন্যূনতম পাঁচ হাজার বাসিন্দা থাকলে এবং সেখানে অন্তত ৭৫% পুরুষ কৃষিকাজের বাইরে অন্য পেশায় যুক্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে ‘সেনসাস নগর’-এর তকমা পেতে পারে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তৎকালীন সচিব রাজীব গৌবা চিঠিতে লেখেন, ওই সব এলাকায় স্বশাসিত সংস্থা গড়লে পরিকল্পিত ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব। উন্নত পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
রাজ্যে ১২৭টি পুরসভা, পুর নিগমের মতো স্বশাসিত প্রশাসন রয়েছে। তৃণমূল জমানায় তৈরি হয়েছে তিনটি। কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী তাড়াহুড়ো করে এমন আরও পুরসভা গড়তে রাজি নয় রাজ্য। প্রশাসনের একাংশের যুক্তি, এমন পরিকাঠামো গড়তে বিপুল খরচ হয়। তাই খুব প্রয়োজন না-হলে এটা করা হবে না। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রতিটি রাজ্যই নিজেদের সুবিধা ও প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রের পরামর্শ বিবেচনা করে। সেটাই করবে পশ্চিমবঙ্গ। পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বললেই তো করা যায় না। আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী পুরসভা, পুর নিগম তৈরি করেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু জায়গায় পুরসভা বা পুর নিগমের সঙ্গে নতুন এলাকা যুক্ত করা হয়েছে।’’
সেই সঙ্গেই তিনি জানান, নতুন কয়েকটি পুরসভা গড়ার প্রস্তাব বিবেচনা স্তরে রয়েছে।