ঘরই পেলেন না গোয়েন্দারা

সল্টলেকের পূর্ত ভবনে সিবিআই ৩৫০০ বর্গফুট নিয়ে অফিস করেছে। চিটফান্ড তদন্তে গতি আনতে রাজ্যের কাছে আরও চারটি ঘর চেয়েছিল তারা। নবান্নের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে ওই অনুরোধের কোনও জবাব দিচ্ছে না প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৭
Share:

সল্টলেকের পূর্ত ভবনে সিবিআই ৩৫০০ বর্গফুট নিয়ে অফিস করেছে। চিটফান্ড তদন্তে গতি আনতে রাজ্যের কাছে আরও চারটি ঘর চেয়েছিল তারা। নবান্নের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে ওই অনুরোধের কোনও জবাব দিচ্ছে না প্রশাসন। শীর্ষ কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, এর অর্থ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আর সহযোগিতা করতে চাইছে না রাজ্য। উল্টে সিবিআই যে ৩৫০০ বর্গফুট দখলে রেখেছে, তা ছেড়ে দিলেই ভাল হয়— মন্তব্য নবান্নের এক কর্তার।

Advertisement

গত মাসে সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসের প্রধান নবান্নে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, চিটফান্ড মামলার তদন্তে অতিরিক্ত অনেক কর্মীকে এ রাজ্যে আনতে হয়েছে। তাঁদের বসার জায়গা নেই। দলিল-দস্তাবেজ নিয়ে তদন্ত চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ত ভবনে আরও চারটি ঘর পেলে কাজে সুবিধে হয়। সেই আর্জির ভিত্তিতেই নবান্নের এই পদক্ষেপ।

চিটফান্ড তদন্তে রাজ্য যেন সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতা করে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণে সারদা-কাণ্ডের সাড়ে তিনশো মামলা যখন বিধাননগর পুলিশ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল, তখন ১০০০ সাব-ইনস্পেক্টর চেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। চাওয়া হয়েছিল বেশ কিছু গাড়িও।

Advertisement

সিবিআইয়ের সব দাবি না মানলেও রাজ্যের বেশ কিছু পুলিশ অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠাতে হয়েছিল নবান্নকে। পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, সিবিআইকে পরিকাঠামোগত সহায়তা দেওয়া নতুন কিছু নয়।

নন্দীগ্রাম মামলার তদন্তের সময়েও সমস্ত রকম সাহায্য করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। কলকাতা বন্দর ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অতিথিশালায় তাঁদের থাকাখাওয়া ও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন