প্রতীকী ছবি।
কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে ছয় লেন করার কাজ শুরু হবে দ্রুতই। সেই কাজ চলাকালীন গাড়ি চলাচলে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য আগেই আন্দুল রোড এবং বাঁকড়া রোডকে আরও সম্প্রসারিতকরা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দু’টি রাস্তা বর্তমানে কোথাও সাড়ে পাঁচ ফুট কোথাও সাত ফুট চওড়া। জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের পোস্ট, টেলিফোনের পোস্ট সরিয়ে দু’টি রাস্তা মিলিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় সম্প্রসারণের কাজ হবে। তখন এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণও করা হবে বলে হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর।
সম্প্রতি হাওড়ায় এক বৈঠকে পুর কমিশনার, হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্র্যাফিক, রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পূর্ত দফতরের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে আরও স্থির হয়েছে রাইটস এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিশেষজ্ঞ দল এলাকা ঘুরে দেখবে। পরিদর্শনের পরে তারা নবান্নে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিলে তার ভিত্তিতে মুখ্যসচিব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং মুম্বই রোড থেকে কলকাতা আসার রাস্তা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু এই রাস্তা খুব ছোট হওয়ায় দিন দিন গাড়ির চাপ বাড়ছে। ফলে সাঁতরাগাছিতেও যানজট হচ্ছে নিত্যদিনই। রাজ্য সরকার চাইছে কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে দিল্লি রোড পর্যন্ত ছ’লেনের এলিভেটেড করিডর হিসাবে নিয়ে যেতে। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা তৈরিতে খরচ হবে ১২০০ কোটি টাকা। সেই মতো ডিপিআর তৈরি করেছে রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশন। সূত্রের খবর, ভারত মালা প্রকল্পে এই রাস্তাকে ছ’লেন করার প্রস্তাব রয়েছে। তার আগেই অবশ্য আন্দুল রোড এবং বাঁকড়া রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।