হেলিকপ্টার নামার অনুমতি মিলল না। মোবাইল ভাষণেই বালুরঘাট ও রায়গঞ্জের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র
অমিত শাহের পর এ বার যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরও হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। অমিত শাহের চপার শেষ পর্যন্ত মালদহে ব্যক্তিগত হেলিপ্যাডে নামিয়ে সভা হলেও, এ রাজ্যে সফর বাতিলই করলেন যোগী। অডিয়ো বার্তায় বার্তা দিলেন উত্তরঙ্গের বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জের দুই সভায়। রায়গঞ্জের সভাস্থলের জমিতে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পর হেলিকপ্টার নামারও অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সরব বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকেও কপ্টার নামার অনুমতি না মেলার অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দু’টি সভা করার কথা ছিল যোগীর। শিলিগুড়িতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে বালুরঘাট যাওয়ার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। পরের কর্মসূচি ছিল সড়কপথে রায়গঞ্জে গিয়ে সখানে জনসভায় ভাষণ। কিন্তু বালুরঘাটে হেলিকপ্টার নামার অনুমতিই দেয়নি রাজ্য সরকার, অভিযোগ বিজেপির।
যোগীর তথ্য উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই তাঁর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
রাজ্য বিজেপি নেতাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমতি না মেলায় বিকল্প হিসেবে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে রায়গঞ্জে বিএসএফ-এর হেলিপ্যাডে নামার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যোগীই সফর বাতিল করায় সে পরিকল্পনাও জলে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত যোগীর মোবাইল-বার্তা শোনানো হয়েছে বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জের দুই সভাতেই।
আরও পড়ুন: সূচ থেকে চালুনি হতে পারছেন না বলেই মুখ্যমন্ত্রীর এত রাগ, ব্রিগেড থেকে কটাক্ষ সূর্যের
আরও পডু়ন: মোদীর মুখে হিন্দিতে প্রশ্ন শুনে থতমত বড়মা
মোবাইলের মাধ্যমে ভাষণেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন যোগী। তিনি বলেন, ‘‘মমতাজি, এটা আপনাকে মানতেই হবে, গণতন্ত্রে আপনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন না, যেটা পশ্চিমবঙ্গে করা হয়েছে। বাংলায় আমলারা তৃণমূল কর্মীদের মতো কাজ করছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
রায়গঞ্জে যোগীর সভাস্থলের মাঠে শনিবারই জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন, সভাস্থল কাশীবাটির ওই জমির পাশেই জলসেচের নামে পাম্প দিয়ে জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতা-কর্মীরা শেষ পর্যন্ত উঁচু আল তৈরি করে সভাস্থলে জল ঢোকা বাঁচিয়েছেন।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)