জঙ্গলমহলে আরও আড়াই লক্ষ রেশন কার্ড

পূর্ণাপাণির ঘটনার পর তড়িঘড়ি সরকার তাঁদের জন্য রেশন কার্ড বিলি করতে নামছে। 

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

জঙ্গলমহলে এখনও ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের হাতে রেশন কার্ড নেই। তাঁদের হাতেই রেশন কার্ড পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি।

জঙ্গলমহলে এখনও ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের হাতে রেশন কার্ড নেই। খাদ্য দফতর তাঁদের হাতে নতুন কার্ড পৌঁছে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। দফতরের দাবি, জঙ্গলমহলে প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষ খাদ্যসাথী প্রকল্পে রেশন পান। তাঁদের জন্য ডিজিটাল কার্ডও তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই কার্ড তৈরির সময় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের কোনও আবেদনপত্র মেলেনি। ফলে সে সময় তাঁদের হাতে কার্ড দেওয়া যায়নি। পূর্ণাপাণির ঘটনার পর তড়িঘড়ি সরকার তাঁদের জন্য রেশন কার্ড বিলি করতে নামছে।

Advertisement

এই ২ লক্ষ ৪০ হাজারের মধ্যে অবশ্য ঝাড়গ্রামের কেউ নেই। কারণ ওই জেলা থ‌েকে নতুন নামের তালিকা জমা পড়েনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর সেই তালিকা জমা পড়তে পারে বলে খাদ্য ভবন জানাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে রেশন কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়বে।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘যখন খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য কার্ড তৈরি হচ্ছিল, সেই সময় বা়ড়ি বাড়ি গিয়েও এই ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের খোঁজ মেলেনি। হয়তো তাঁরা সে সময় বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এখন বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁদের রেশন কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ হয়েছে।’’ খাদ্যমন্ত্রী জানান, জঙ্গলমহল প্যাকেজের মধ্যে এখন চাল-গম পান, এমন মানুষের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ। এঁরাও নতুন ডিজিটাল কার্ড পাচ্ছেন। প্রায় ৮০% কার্ড বিলি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রাপকদের জন্য কার্ড ছাপার প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার ৩০টি ব্লক এবং ঝাড়গ্রাম ও দুবরাজপুর পুরসভা রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, এই এলাকায় প্রত্যেক মানুষ মাসে ৮ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম পেয়ে থাকেন। তাঁর কথায়, ৪ জনের একটি পরিবারকে প্রতি মাসে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য সরকার দেয়, তাতে খাদ্যাভাব থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সরকার যখন কার্ড তৈরি করেছে, তখন অনেকে আবেদন করেননি। ফলে প্রাথমিক ভাবে বাদ প়ড়েছিলেন। এখনও যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন, তাঁরা বিডিও অফিস বা মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের অফিসে গিয়ে দরখাস্ত দিতে পারবেন।

খাদ্য দফতরের পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফে লোধা-শবরসহ আদিবাসীদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিতে বলা হয়েছে। নতুন রেশন কার্ড দিতে প্রাপকদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বিডিওদের। পশ্চিম মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই বিডিও’রা সেই কাজ শুরু করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন