ছবি: সংগৃহীত।
আদালত থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। তবে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন প্রসারের ক্ষেত্রে গজলডোবাই যে এখন রাজ্য সরকারের পাখির চোখ, আবার তা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
পর্যটনমন্ত্রী জানান, গজলডোবায় দু’টি বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই কম খরচের হোটেল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অন্য একটি সংস্থা ওখানে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণের সবিস্তার প্রোজেক্ট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গৌতমবাবুর বক্তব্য, গজলডোবা থেকে মংপং পর্যন্ত তিস্তায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে তিস্তার বুকে কোনও যন্ত্রচালিত নৌকা চালানো হবে না। চলবে দাঁড়টানা নৌকা।
মঙ্গলবার কলকাতায় বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ট্রাভেল ইন্ডিয়া ২০১৭’ শীর্ষক এক পর্যটন সম্মেলনে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘গজলডোবায় বিলাসবহুল রিসর্ট, গল্ফ কোর্স, আয়ুর্বেদিক স্পা, পাঁচতারা হোটেল তো থাকবেই। একই ভাবে গড়ে উঠবে সরকারি যুব আবাস, কম খরচের হোটেল।’’ পরে তিনি জানান, গজলডোবা থেকে সেবক রোডের ধারে শালুগাড়ায় ‘বেঙ্গল সাফারি’ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হাতির পিঠে জঙ্গলে ঘোরার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। মন্ত্রীর বক্তব্য, ওখানে পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার ৪৫০-৫০০ কোটি টাকা খরচ করছে। জমির দাম ধরলে ওখানে রাজ্যের খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় হাজার কোটি।
পর্যটনসচিব অত্রি ভট্টাচার্য জানান, হেরিটেজ ভবনে যাতে পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে থাকতে পারেন, সেই জন্য এই সব সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থাকে লিজে দেবে রাজ্য। অত্রিবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়ি, হুগলির ইটাচুনা রাজবাড়ির উদাহরণ দেন। আয়োজক বণিকসভার ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব সিংহ জানান, ভারতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। যোগ্য ব্যবস্থা চাই।